গতকাল চতুর্থ দফায় ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দেশজুড়ে। এই দফায় আন্তঃরাজ্য এবং রাজ্যের মধ্যে বাস এবং যাত্রীবাহী পরিবহণে ছাড় দেয় কেন্দ্র। বন্ধ বিমান বা মেট্রো পরিষেবা। সেইসঙ্গে এই দফায় রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়া হয় পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজ্যে রেড, অরেঞ্জ জোন নির্ধারণ করার।
আজ রাজ্যেও ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আগের লকডাউন ও এবারের লকডাউনের মধ্যে পার্থক্য আছে। এবার রাজ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে কনটেনমেন্ট জোনকে। এ- ক্ষতিগ্রস্ত জোন, বি-বাফার জোন, সি-ক্লিন জোন। জোন অনুসারে আলাদা, আলাদা নিয়ম ও ব্যবস্থা।
লকডাউনের জেরে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে অর্থনীতি। সাধারণ মানুষের রুজিরুটিতে টান পড়েছে। সেই কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, কনটেনমেন্ট এ জোন ছাড়া ২১ মে থেকে সব এলাকায় বড় দোকান খুলবে। জোড়-বিজোড় নীতি মেনে ২৭ মে থেকে খোলা হবে হকার্স মার্কেট। মানতে হবে করোনা সতর্কতা বিধিও।
তবে সবার আগে বাজারগুলি স্যানিটাইজ করার উপর জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। হকার্স মার্কেট খোলার জন্য পাস দেবে পুলিশ। সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলা থাকবে হোটেল, কিন্তু রেস্তোরাঁ নয়, জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সেইসঙ্গে পরিবহণের ক্ষেত্রেও বড় ঘোষণা করা হল রাজ্যে। ২১ তারিখ থেকে চলবে আন্তঃজেলা বাস। ২৭ তারিখ থেকে অটো চলবে। তোলা যাবে ২ জন করে যাত্রী। অটো চালানোর আগে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক হবে।
সামাজিক দূরত্ব মেনে খুলবে সেলুন, বিউটি পার্লারও। তবে স্যানিটাইজ করে সেলুন, বিউটি পার্লারের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে প্রতি উপভোক্তাকে।
একদিন অন্তর সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলবে। কেন্দ্র সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ৭টা অবধি কার্ফুর ঘোষণা করলেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন , 'নাইট কার্ফুর নামে মানুষের ভোগান্তি ঠিক নয়। আমরা সরকারিভাবে কার্ফু ঘোষণা করছি না। কিন্তু বেআইনি জমায়েত করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।'
সামনে ঈদ। সেই কথা মাথায় রেখে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে তাঁর আবেদন, সবাই বাড়িতে বসেই উৎসব করুন। সেইসঙ্গে দেন ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করি। কেউ যাতে চক্রান্ত করতে না পারে দেখতে হবে।
এছাড়াও তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে ১৭০ জন এসেছে কলকাতায়। বাস ও ট্রেনে আড়াই-তিন লক্ষ বাংলায় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলিকে এই পরিস্থিতিতে ‘উস্কানি না দিয়ে’ পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমানায় কেউ এলে আগাম খবর দিয়ে আসুন, সন্ধে ৭-সকাল ৭ পর্যন্ত সীমানায় আসবেন না।'‘ইতিমধ্যে ১৬টি ট্রেন রাজ্যে চলে এসেছে’
বাংলার বাইরে রাজ্যের বহু মানুষ আটকে আছেন, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘বাইরে ২০-২৫ লক্ষ বাংলার লোক, এই তথ্য ঠিক নয়, ‘বাকি রাজ্যগুলিকে বলব পরিযায়ীদের যত্ন নিন।
জনগণের কাছে তাঁর আর্জি, ‘সরকারকে সময় দিন, পরিকল্পনা করে কাজ হচ্ছে। ১০০টি ট্রেন বুক করেছে পশ্চিমবঙ্গ। ২-৩ দিনের মধ্যে আরও ১২০টি ট্রেন চাইব। প্রতিদিন ১০টি করে ট্রেন ঢুকবে রাজ্যে। ২৩৫টি ট্রেনের সব খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। যারা বলছেন, বাস পাঠিয়ে দিন, তাঁরাও কিছু করুন।’
রাজ্যে লকডাউন ৩১ মে অবধি, খুলবে দোকান, সেলুন, চলবে বাস-অটো, কী কী শর্তে দেখে নিন
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
18 May 2020 05:26 PM (IST)
আজ রাজ্যেও ৩১ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, আগের লকডাউন, এই লকডাউনের পার্থক্য আছে। তবে রাজ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলবে।
NEXT
PREV
অপরাধ (crime) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -