কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হল।  রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর ২টি বাড়িতে আজ হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছোত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তবে আজ তল্লাশি অভিযানের সময় বিনয়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা। ওই ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে বিনয় একজন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিনয় মিশ্রর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ হুগলির কোন্নগরের ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান সিবিআইয়ের। অমিত সিং ও নবীন সিংয়ের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।
ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।

অন্যদিকে, কয়লা পাচারকাণ্ডে আজ হুগলির কোন্নগরের ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান করে সিবিআই। অমিত সিংহ ও নবীন সিংহ নামে ওই দুই ব্যবসায়ীর বাড়ি হানা দিয়েছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।

এর আগে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এক ডিআইজি সহ বিএসএফের ৪ অফিসারকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। ওই চারজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়।

সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, যে চারজনকে নোটিস পাঠানো হয় তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। এছাড়া ছিলেন ২ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট এবং একজন ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার অফিসার। গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে এঁদের নাম উঠে আসে, তাই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে এই মামলায় বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও আত্মসমর্পণ করেছে। এ মাসের মাঝামাঝি আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করে সে। সিবিআই আধিকারিকরা তাকে হেফাজতে নেন। সিবিআই তরফে দাবি করা হয়েছে, এনামুলের সঙ্গে বিএসএফ আধিকারিকদের একটি সিন্ডিকেটের যোগাযোগ ছিল। এক প্রবাবশালী মহলে গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা ঘুষ হিসেবে দেওয়া হত বলে জানা যাচ্ছে সিবিএই সূত্রে। প্রয়োজনে বিএসএফ আধিকারিকদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানা যায় সিবিআই সূত্রে।