তিরুপতি: স্ত্রীর বাড়ির লোক দাবিমত পণ দিচ্ছে না। প্রতিশোধ নিতে স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাঁকে কল গার্ল বলে দাবি করলেন অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতির এক ব্যক্তি। পণের দাবিতে স্ত্রীকে নিয়মিত মারধরও করতেন তিনি। তাঁর দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে অভিযোগকারিণী বুধবার বাবা মা, আত্মীয়দের নিয়ে স্থানীয় থানার সামনে ধর্নায় বসেন। তখন গোটা ঘটনা জানাজানি হয়।


অভিযুক্ত অবশ্য বিপদ বুঝে বেপাত্তা হয়েছেন। তিনি তিরুপতির এসজিএস কলেজে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি করেন। গত বছর অগাস্টে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের তৃতীয় দিন থেকেই তিনি স্ত্রীকে মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। বিয়ের পর পরই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। কিন্তু স্বামীর দৈনন্দিন শারীরিক নির্যাতনের জেরে তিনি বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতে বাধ্য হন। তাতে অবশ্য স্বামীর চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি। এবার তিনি অসুস্থ, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত স্ত্রীর কাছ থেকে আরও পণ চাইতে থাকেন। দাবি না মানায় শুরু হয় অকথ্য শারীরিক, মানসিক নির্যাতন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মহিলা ফিরে যান বেঙ্গালুরুতে বাপের বাড়ি। স্বামী ভদ্রলোক সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করেন, স্ত্রী নাকি ২০ লাখ টাকা মূল্যের সোনার গয়না আর নগদ টাকা নিয়ে বাপের বাড়ি চম্পট দিয়েছেন।

মহিলা অল্পদিন আগে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী তাঁদের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি নিজের কলেজের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছেড়ে দিয়েছেন, তাতে তাঁর নগ্ন ছবিও রয়েছে। তাতে তিনি তাঁর পরিচয় দিয়েছেন কল গার্ল হিসেবে, ঘণ্টায় নাকি যাঁর চার্জ ৩,০০০ টাকা।

সহ্যের সীমা পেরিয়ে যাওয়া মহিলা বাবা মা, আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে স্থানীয় পুলিশ থানার বাইরে ধর্নায় বসেছেন। তিনি বলেছেন, এটা স্যাডিজমের চূড়ান্ত পর্যায়, এতটা নোংরামি তাঁর পক্ষে বরদাস্ত করা আর সম্ভব নয়। স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা ও পণের দাবিতে মারধর, মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।