নয়াদিল্লি: কর্মক্ষেত্রে নাকি অপমানিত হতে হয়েছিল। তাই পুরনো অফিসে পিপিই কিট পরে ২০ কোটি টাকার গয়না চুরি করল শেখ নুর রহমান নামে এক যুবক। তবে চুরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে গিয়েছে সে।

করোনার জেরে এখন পিপিই কিট পরা খুব স্বাভাবিক। এই সুযোগটাই নিয়েছিল ২৫ বছরের শেখ নুর রহমান। পিপিই কিট পরে মাথা মুখ সর্বাঙ্গ ঢেকে দিল্লির কালকাজির একটি গয়নার দোকানে ঢোকে সে, তারপর ২০ কোটি টাকার সোনার গয়না চুরি করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গোটা ঘটনা। কারোলবাগ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে, উদ্ধার হয়েছে যাবতীয় গয়না, সঙ্গে ২৩,০০০ টাকা নগদ।

জানা গিয়েছে, ওই দোকানেই কাজ করত নুর। স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে পড়তে পড়তে কলেজ ছেড়ে দেওয়ার পর সে যোগ দেয় কলকাতার এক নামী সোনার দোকানে। সেখানে বছরদুয়েক কাজ করার পর চলে আসে দিল্লি, কালকাজির এই সোনার দোকানে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে যোগ দেয়। নুরের বক্তব্য, অন্য কর্মীরা তাকে উত্যক্ত করতেন। তাই প্রতিশোধের ছক কষে সে। সে অত্যন্ত টেক স্যাভি, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে, প্রেসার কুকার, স্ক্রু ড্রাইভার, অ্যালেন কি, টর্চ- এ সব কীসে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সব তার নখদর্পণে। এরপর সে শিখে নেয় কীভাবে সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন বহুতলে ঢুকে পড়া যায়, যাতে চুরি করা যায় সেখানকার গয়নার দোকানে।

নিজের কর্মক্ষেত্রেই চুরির পরিকল্পনা করে এ মাসের ১০ তারিখ থেকে ছুটি নেয় সে। আশপাশের সব বহুতলগুলো রেকি করে, দেখে নেয়, কীভাবে ওই দোকানে ঢোকা যাবে। একটা বহুতল চিহ্নিত করে, যাতে ফাঁকা বা বন্ধ পড়ে থাকা ফ্ল্যাট রয়েছে। তারপর তালিকা তৈরি করে, ওই বাড়িতে ঢুকতে কী কী জিনিসপত্র দরকার। সেইমত প্রেসার আয়রন কাটার, স্ক্রু ড্রাইভার,টর্চ ও দড়ি নিয়ে এবং পিপিই কিট পরে ওই বহুতলে ঢোকে সে। পুলিশ মনে করছে, বহুতলের চতুর্থ তলার গুদামঘরে ঢুকে একটি ফাইবার রুফ শিট ভেঙে সে ওই সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে। বহুতলের চারতলার লোহার দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।