গুয়াহাটি: জেলে মানসিক ভরসাম্যহীন মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। অসমে গ্রেফতার জেলে কর্মরত দুই কনস্টেবল। জেলপ্রাঙ্গনে সরকারি কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই মহিলা। (Assam News)
অসমের শ্রীভূমি জেলা থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স কম। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘরবাড়ি কিছুই নেই তাঁর। পরিবার কোথায়, তাও জানা নেই কারও। তাঁকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন অনেকেই। আর ওই মহিলাকেই জেলের ভিতর টেনে এনে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। (Sribhumi Jail)
দুই অভিযুক্তকে ৪৫ বছর বয়সি হরেশ্বর কলিতা এবং ৫০ বছর বয়সি গজেন্দ্র কলিতা বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। প্রথম জনের বাড়ি অসমেরই পাঞ্জাবাড়িতে, দ্বিতীয় জনের বরাগাঁওয়ে। দু’টি এলাকাই গুয়াহাটির মধ্যে পড়ে। শ্রীভূমি জেলা কারাগারে কনস্টেবল হিসেবে মোতায়েন ছিলেন তাঁরা।
শুক্র-শনিবার গভীর রাতে ওই দু’জন মিলে অপরাধ ঘটান বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, রাত ১.৩০টা নাগাদ ওই মানসিক ভারসাম্যহীন, ভবঘুরে মহিলাকে টেনে আনেন তাঁরা। জেলের কোয়ার্টারে নিয়ে গিয়ে একে একে ধর্ষণ করেন। জেলেরই টহলদাররাই অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন বলে জানা যাচ্ছে। রাতে পাহারা দিতে বেরোলেই ওই দু’জনের কুকীর্তি ধরা পড়ে যায়। বাকিদের খবর দেওয়া হলে, হেফাজতে নেওয়া হয় অভিযুক্তদের।
পুলিশের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘দুই জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে এই ঘটনায়। নির্যাতিতা মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকদের পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। রাতে রাস্তায় একাই ছিলেন তিনি। সেই সময় সুযোগ নেন অভিযুক্তরা।’ শীঘ্রই অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে। দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীভূমির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণবজ্যোতি কলিতা।
দেশের উত্তর-পূর্বের সংবাদমাধ্যম North East Now জানিয়েছে, ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুই কনস্টেবলকে। শ্রীভূমি জেলেই রয়েছে তারা। আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দুই কনস্টেবলের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "আমাদের রক্ষা করার কথা যাঁদের, তাঁরাই অপরাধ ঘটাচ্ছেন।" অতিরিক্ত SP কলিতা জানিয়েছেন, রাতেই জেলের নিরাপত্তারক্ষীরা খবর দেন সকলকে। ইনস্পেক্টর দেবানন্দ দত্ত এবং সাব ইনস্পেক্টর রানা দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছন সঙ্গে সঙ্গে। ওই মহিলার উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে বোঝা যায়। অভিযুক্তদের ধরে থানায় আনা হয়। আনা হয় নির্যাতিতাকেও। সেখান থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় নির্যাতিতা। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।