লাতুর: মহারাষ্ট্রে এবার HIV আক্রান্ত কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। কাঠগড়ায় শেল্টার হোমের কর্মীরাই। টানা দু’বছর ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মেয়েটির গর্ভপাতও করানো হয় বলে জানা গিয়েছে। শেল্টার হোমের ডিরেক্টর, তাঁর স্ত্রী, এক পুরুষ ও এক মহিলা কর্মী-সহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা মূল অভিযুক্তকে আড়াল করতে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। মূল অভিযুক্ত পলাতক। (Maharashtra Shelter Home)
মহারাষ্ট্রের লাতুরের HIV আক্রান্ত শিশুদের জন্য তৈরি শেল্টার হোম ‘সেবালয়ে’ এই নক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে। ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময়কালে দফায় দফায় মেয়েটিকে শেল্টার হোমের এক কর্মী ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মেয়েটির বয়স ১৬ বছর। মেয়েটি আসলে ধারাশিব জেলার বাসিন্দা। (HIV Positive Girl Assaulted)
ঢোকি থানায় অভিযোগ জানিয়েছে মেয়েটি। থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত দু’বছর ধরে ওই শেল্টার হোমে ছিল HIV আক্রান্ত ওই কিশোরী। ধর্ষণের পর তাকে হুমকিও দেওয়া হয়, যাতে কারও কাছে মুখ না খোলে সে। বার বার কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। অত্যাচারের কথা জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছিল মেয়েটি। কিন্তু শেল্টার কর্তৃপক্ষ সেটি ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ।
মেয়েটি সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে পরীক্ষা হতে দেখা যায় মেয়েটি আসলে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর পর এক ডাক্তারের সঙ্গে ষড় করে অভিযুক্ত মেয়েটির সম্মতি ছাড়াই গর্ভপাত করানো হয় তার। কোন চিকিৎসক মেয়েটির গর্ভপাত করান, তাঁরও খোঁজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।
লাতুরের যে শেল্টার হোমে এই ঘটনা ঘটেঠে, সেটির প্রতিষ্ঠাতা রবি বাপটলে। তাঁর স্ত্রী রচনা বাপটলেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন শেল্টার হোমের কর্মী অমিত মহামুনি এবং পূজা বাঘমারে। ওই শেল্টার হোমের মূল স্লোগান ‘হ্যাপি হোম ফর চিলড্রেন’। ওয়েবসাইটে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, সেখানে HIV আক্রান্ত ২৩ ছেলে ও সাত মেয়ে রয়েছে। কর্মীরা সকলেই স্বেচ্ছাসেবক। বিনা পয়সায় কাজ করেন। আর সেখান থেকেই এই ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এল।
মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং POCSO ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ছ’জনের বিরুদ্ধে। মেয়েটি সম্প্রতি ধারাশিবের বাড়িতে যায়। সেখানেই প্রথমে জিরো এফআইআর দায়ের করে সে। পরবর্তীতে এফআইআরটি লাতুর জেলার অন্তর্গত থানায় পাঠানো হয়।