উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিককে গুলি করে খুন, গ্রেফতার ৩, দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা রাজ্যের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
25 Aug 2020 01:47 PM (IST)
পুলিশ জানিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন ওই সাংবাদিক। যদিও রতনের পরিবার ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে।
NEXT
PREV
লখনউ: উত্তরপ্রদেশে হিংসার খামতি নেই। বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ করছেন, যোগী আদিত্যনাথের জমানায় গোবলয়ের বৃহত্তম রাজ্যে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ কায়েম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে আবার এক সাংবাদিক খুন হলেন। রতন সিংহ নামে ওই সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং আটক করা হয়েছে তিন জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন ওই সাংবাদিক। যদিও রতনের পরিবার ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে। সাংবাদিক খুনের ঘটনায় যোগী সরকারকে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। গত জুলাইয়েও যোগী রাজ্যে বিক্রম জোশী নামে এক সাংবাদিক খুন হয়েছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার ফাফনা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক রতন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে তাড়া করে কিছু দুষ্কৃতী। ওই সাংবাদিক বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, রতন যখন বাড়ি থেকে ৭০০ মিটার দূরে তখন দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে। তার পরেই রতনকে গুলি করা করে তারা। যেখানে সাংবাদিককে গুলি করা হয়, সেখান থেকে স্থানীয় পুলিশ পোস্ট মাত্র কয়েক গজ দূরে। স্থানীয় লোকজনই রতনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
৪২ বছরের এই সাংবাদিক খুনের ঘটনায় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের তত্ত্ব সামনে এনেছে পুলিশ। আজমগঢ় রেঞ্জের পুলিশের আইজি সুভাষ দুবে জানিয়েছেন, রতনেরা জেলার শহর লাগোয়া এলাকায় থাকতেন। গ্রামে তাঁদের সম্পত্তি ছিল। সেখানে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সুভাষ বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা একটি জমি দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল। জমির দখল নিতে তারা ওই দেওয়ালের উপর খড়ের গাদা তৈরি করেছিল। রতন সেখানে গিয়ে ওই খড়ের গাদা সরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত এবং সংঘর্ষ। দুষ্কৃতীরা তাড়া করতে করতে গুলি করে ওই সাংবাদিককে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ও পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন বলে মনে হচ্ছে।’’ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জন গ্রামবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এরা সকলেই রতনের দুরসম্পর্কের আত্মীয়।
পুলিশের এই যুক্তি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নিহত সাংবাদিকের বাবা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদই ছিল না। পুলিশ মিথ্যে গল্প সাজাচ্ছে। প্রকৃত অপরাধী তো ফাফনা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েও পালিয়ে এসেছিলেন।’’
ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করে প্রিয়ঙ্কার টুইট, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সরকারের গতির কথা বলে থাকেন। কিন্তু রাজ্যে অপরাধের গতি তার চেয়েও দ্বিগুণ। এর সঙ্গে রাজ্যে গত দুদিনের অপরাধের একটি তালিকাও টুইট করেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
নিহত রতন স্থানীয় একটি চ্যানেলে নিয়মিত খবর দিতেন। এই খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে বালিয়া ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিয়ন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, এই খুনের সঙ্গে কোনও পেশাগত সম্পর্ক নেই।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশে হিংসার খামতি নেই। বিরোধীরা লাগাতার অভিযোগ করছেন, যোগী আদিত্যনাথের জমানায় গোবলয়ের বৃহত্তম রাজ্যে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ কায়েম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে আবার এক সাংবাদিক খুন হলেন। রতন সিংহ নামে ওই সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং আটক করা হয়েছে তিন জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন ওই সাংবাদিক। যদিও রতনের পরিবার ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে। সাংবাদিক খুনের ঘটনায় যোগী সরকারকে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। গত জুলাইয়েও যোগী রাজ্যে বিক্রম জোশী নামে এক সাংবাদিক খুন হয়েছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার ফাফনা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক রতন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে তাড়া করে কিছু দুষ্কৃতী। ওই সাংবাদিক বাড়ির দিকে দৌড়তে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, রতন যখন বাড়ি থেকে ৭০০ মিটার দূরে তখন দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে। তার পরেই রতনকে গুলি করা করে তারা। যেখানে সাংবাদিককে গুলি করা হয়, সেখান থেকে স্থানীয় পুলিশ পোস্ট মাত্র কয়েক গজ দূরে। স্থানীয় লোকজনই রতনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
৪২ বছরের এই সাংবাদিক খুনের ঘটনায় সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের তত্ত্ব সামনে এনেছে পুলিশ। আজমগঢ় রেঞ্জের পুলিশের আইজি সুভাষ দুবে জানিয়েছেন, রতনেরা জেলার শহর লাগোয়া এলাকায় থাকতেন। গ্রামে তাঁদের সম্পত্তি ছিল। সেখানে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সুভাষ বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা একটি জমি দেওয়াল দিয়ে ঘিরে দিয়েছিল। জমির দখল নিতে তারা ওই দেওয়ালের উপর খড়ের গাদা তৈরি করেছিল। রতন সেখানে গিয়ে ওই খড়ের গাদা সরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত এবং সংঘর্ষ। দুষ্কৃতীরা তাড়া করতে করতে গুলি করে ওই সাংবাদিককে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ও পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন বলে মনে হচ্ছে।’’ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জন গ্রামবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। এরা সকলেই রতনের দুরসম্পর্কের আত্মীয়।
পুলিশের এই যুক্তি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নিহত সাংবাদিকের বাবা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদই ছিল না। পুলিশ মিথ্যে গল্প সাজাচ্ছে। প্রকৃত অপরাধী তো ফাফনা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েও পালিয়ে এসেছিলেন।’’
ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত সাংবাদিকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করে প্রিয়ঙ্কার টুইট, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সরকারের গতির কথা বলে থাকেন। কিন্তু রাজ্যে অপরাধের গতি তার চেয়েও দ্বিগুণ। এর সঙ্গে রাজ্যে গত দুদিনের অপরাধের একটি তালিকাও টুইট করেছেন কংগ্রেস নেত্রী।
নিহত রতন স্থানীয় একটি চ্যানেলে নিয়মিত খবর দিতেন। এই খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে বালিয়া ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিয়ন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, এই খুনের সঙ্গে কোনও পেশাগত সম্পর্ক নেই।
অপরাধ (crime) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -