রণজিৎ সাউ, নরেন্দ্রপুর: আন্তর্জাতিক মোবাইল পাচার চক্রের হদিস মিলল নরেন্দ্রপুরে (Narendrapur International Mobile Smuggling)। ঘটনায় গ্রেফতার এক। ধৃতের নাম আব্দুল রহমান। পুলিশ সূত্রে খবর, তার কাছ থেকে মোট ৩৪টি নামী-দামী সংস্থার মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করার কথা। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


আর কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা, কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত এক আধিকারিকের আই-ফোন হালেই চুরি গিয়েছিল। নির্দিষ্ট করে বললে, ঘটনাটি ঘটেছিল বুধবার। গত কাল তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আই-ফোন ট্র‍্যাক করে ও সোর্স মারফত হদিস মেলে আব্দুলের। এর পর, তার সন্ধানে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গ্রিনপার্কে গিয়েছিল পুলিশ। জানা যায়, গত দু'মাস ধরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল সে। তার আসল বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকার বৃন্দাখালীর পশ্চিমপাড়ায়। বাসে ও ট্রেনে মোবাইল ছিনতাই করাই তার কাজ ছিল বলে দাবি পুলিশের। মূলত, কাজের সুবিধার জন্যই গ্রিনপার্ক এলাকায় বসবাস শুরু করে সে, আরও জানতে পেরেছে পুলিশ।
বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা জানান,  অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩৪টি মোবাইল উদ্ধার করা গিয়েছে। তিনি আরও জানান, আব্দুল চোরাই মোবাইলগুলি নিউ মার্কেট এলাকায় দিয়ে আসত। সেখান থেকে সেগুলি বাংলাদেশে চলে যেত। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে জানান তিনি। আব্দুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও বেশ কিছু তথ্য ও নাম সামনে আসে। সমস্ত তথ্য়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান বারুইপুর পুলিশ জেলার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ। 

নতুন নয়...
গত বছর, সেপ্টেম্বর মাসেও উত্তর ২৪ পরগনা গোপালনগর থানা এলাকায় এমনই আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের হদিশ পেয়েছিল পুলিশ। সে বার ৭২ টি মোবাইল ও ৫ হাজার ৭১০ বাংলাদেশি টাকা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম ছিল ইমরান মন্ডল এবং আনোয়ার হোসেন। পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ব্যবসায়ী ইমরান, আনোয়ার হোসেন মারফত চুরি যাওয়া মোবাইলগুলিকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করছিল। তবে কার্যসিদ্ধি হওয়ার আগেই বমাল ধরা পড়ে তারা, এমনই জানায় পুলিশ। আরও জানা যায়, আনোয়ার বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা। 


 


আরও পড়ুন:ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টে তীব্র অসন্তোষ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একাধিক কড়া প্রশ্নের উত্তর চাইল UGC