সমীরণ পাল, জগদ্দল: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জগদ্দলে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়ার ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। গত রবিবার জগদ্দল থানার ঢিলছোড়া দূরত্বে ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোক সাউয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে থানায় আশ্রয় নেন শাসকদলের ওই নেতা। এই ঘটনায় গতকাল রাতে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে জগদ্দল থানার পুলিশ।
এক দুষ্কৃতী গ্রেফতার: আসানসোল, গোয়ালপোখরের পর, জগদ্দল। উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে চলে গুলি! থানায় ঢুকে প্রাণ বাঁচে শাসক-নেতা। তিনি জানতে পেরেছেন, জেলে বসে কেউ খুন করার ছক কষছিল- চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আক্রান্ত তৃণমূল নেতার। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দল থানার পালঘাট রোডে। আক্রান্ত হয়েছেন, ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোক সাউ। তিনি জানিয়েছেন, রোজকার মতো বাজারে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ২টি ছোড়ে ৪-৫ জন দুষ্কৃতী। তারপর ছোড়া হয় গুলি। মাটিতে বসে পড়ায় গুলি মাথায় লাগেনি।
দু্কৃতীদের ছোড়া একটি গুলি অশোকের পিঠ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে থানায় আশ্রয় নেন শাসক-নেতা। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার চাঞ্চল্যকর দাবি, তিনি জানতে পেরেছেন, জেলে বসে কেউ খুন করার ছক কষছিল। অশোক সাউ বলেন, “মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে মাথা নিচু করে নেওয়ায় পিঠে গুলি করে...থানার দিকে দৌড়ে যাই। জেলে বসে কেউ খুন করার ছক কষছিল। কেন মারতে চায় জানি না।’’
সাতসকালে জনবহুল এলাকায় গুলি চলায় আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত তৃণমূল নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে আনা হয় থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে থানায় আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অলোক রাজোরিয়া, জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। নামামো হয় র্যাফ। হামলাকারীরা মাস্ক পরে এসেছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তৃণমূল নেতার অভিযোগের সূত্রে আরমান নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর নাম উঠে এসেছে। তাকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল ও একটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও একটি অডিও ক্লিপ।
আরও পড়ুন: