সুনীত হালদার, হাওড়া: ফের সড়ক দুর্ঘটনা। এবার উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ১ জন, জখম অন্তত ১০। রাজ্যের নানা প্রান্তে বার বার সড়ক দুর্ঘটনার খবর শিরোনামে আসা সত্ত্বেও এই ছবিতে যে কোনও রদবদল হচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল আরও এক বার।


কী ঘটল?
ঘড়িতে তখন সাড়ে ৫টা। ভোর বেলা কলকাতার দিকে যাচ্ছিল বাগনান-ধর্মতলা রুটের বাসটি। আচমকা, বীরশিবপুরে, বাসের পিছনে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। তাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, বাসের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীদের উপর হুড়মুড়িয়ে উঠে যায় বাগনান-ধর্মতলা রুটের ওই বাস। হুলস্থুল শুরু হয়ে যায়। স্থানীয়রা জখমদের উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে ১ যুবককে বাঁচানো যায়নি, ৪ জন জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসটিকে আটক করার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উলুবেরিয়া থানার পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হল, এমন দুর্ঘটনার কথা আকছার শোনা যাচ্ছে কেন? গাফিলতি কার? প্রশাসন নাকি যাত্রী নাকি চালক নাকি সব তরফের? কেন আরও সচেতনতা বাড়ছে না? উত্তর নেই। শুধু বেড়ে চলেছে দুর্ঘটনার তালিকা।


উলুবেড়িয়ায় দুর্ঘটনা...
২০২২ -র জুলাই মাসে উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলের বেলতলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাতে গিয়ে দুই আরোহীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনার সময় তাঁদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না বলে খবর। তার আগে, জুন মাসে, উলুবেড়িয়া থানার মাধবপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রিবোঝাই বাস উল্টে কম-বেশি ১৬ জনের চোট লাগে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গত বছর জুন মাসে, এক ভয়ানক পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর ডান হাত কাটা পড়ে ওই ঘটনায়। অটোয় চড়ে যাচ্ছিলেন রান্নার কাজে। রাস্তায় লরির ধাক্কায় কাটা পড়ে হাত। (Uluberia) নোনা এলাকায় ওড়িশা ট্রাঙ্ক রোডের দুর্ঘটনায় হইচই হয়েছিল। শ্যামপুরের বাসিন্দা রেবা মণ্ডল উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে রান্নার কাজ করতেন। অসাবধানতাবশত তাঁর ডান হাত অটোর বাইরে ছিল। দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময়, লরির ধাক্কায় হাত কেটে রাস্তায় পড়ে। গুরুতর জখম ওই মহিলাকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরকম ঘটনা, রাজ্যের নানা প্রান্তে কম-বেশি রয়েছে। সেই তালিকায় সংযোজন আরও ১।


আরও পড়ুন:চড়ছে পারদ, মার্চের শেষে আবহাওয়ার চেনা ছন্দে ফিরছে বীরভূম