বাচ্চু দাস ও বিজেন্দ্র সিংহ, নিউ জলপাইগুড়ি: পাক গুপ্তচর (Pak Spy) সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করল রাজ্য পুলিশের STF। ধৃতের নাম গুড্ডু কুমার। সে বিহারের (bihar) বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে তার ভাড়া বাড়িতে তল্লাশিও চালায় এসটিএফ। সেনা ছাউনির (army camp) বেশ কিছু ছবি সে পাকিস্তানে পাঠিয়েছে, বলে জেরায় স্বীকার করেছে গুড্ডু, দাবি STF সূত্রে।
কী জানা গেল?
শিলিগুড়িতে ঘাঁটি গেড়ে কি পাকিস্তানে তথ্য পাচার? আপাতত এই অভিযোগেই নিউ জলপাইগুড়ি (new jalpaiguri) থেকে বিহারের এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশ সূত্রে দাবি, সীমান্ত এলাকা থেকে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে পাচার করছিল গুড্ডু কুমার নামে ওই যুবক। জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে, সেনা ছাউনির বেশ কিছু ছবি, সে পাকিস্তানে পাঠিয়েছে। টাকার জন্য এই চক্রের হয়ে কাজ করত। শিলিগুড়ির ভারতনগরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত গুড্ডু। বৃহস্পতিবার ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে সেই ঘরে তল্লাশি চালাল পুলিশ। তার গ্রেফতারির খবরে রীতিমতো হতবাক বাড়ির মালিক সঞ্জয়কুমার সুশীল।বললেন, 'বছর দুয়েক আগে সে আসে। টোটো চালাত। পড়াতও। কখনও এরকম মনে হয়নি।' প্রতিবেশী শিখা অধিকারীরও বক্তব্য, 'এরকম কখনও ভাবতে পারিনি।'
শুরু রাজনৈতিক তরজা...
শিলিগুড়ি থেকে সন্দেহভাজন পাক গুপ্তচরের ধরা পড়ার ঘটনা নিয়ে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরেই পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের সন্দেহে কালিম্পং থেকে ১ জন ধরা পড়ে। ধৃতের মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপে পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে চ্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। মোবাইলে হোয়াটস অ্যাপ কলেরও হদিশ মিলেছিল, খবর সূত্রের। ধৃতের বিরুদ্ধে কালিম্পঙে সেনা ইউনিটের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রাজ্য পুলিশের এসটিএফের ধৃতের ল্যাপটপ ও মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয় সে বার। প্রসঙ্গত, ভোটের আগে রাজ্যের নানা প্রান্তে বোমা, বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে এমনিতেই তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এদিন সরশুনায় হঠাৎ বিস্ফোরণে ১ জনের মৃত্যু হয়। বস্তুত উত্তর থেকে দক্ষিণ, নানা প্রান্তে এই ধরনের ঘটনায় ক্রমেই সরব বিরোধীরা। এবার পাক গুপ্তচর সন্দেহে নিউ জলপাউগুড়ি থেকে গ্রেফতার ১।
আরও পড়ুন:চিন জুড়ে BF.7-এর দাপট, দৈনিক সংক্রমণ ১০ লক্ষ, মৃত্যু ৫ হাজার! রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল