বেজিং: ইতিমধ্যেই ঘোর বিপদের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই আবহেই দানা বাধছে আতঙ্ক। কারণ কয়েক হাজারে নয়, চিনে এই মুহূর্তে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ বলে দাবি সামনে এল (China Covid Cases)। দৈনিক মৃত্যুসংখ্যাও নাকি ঘোরাফেরা করছে ৫ হাজারের আশেপাশে।  চিনের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এল (China Covid Surge)। 


চিনে এই মুহূর্তে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ১০ বলে দাবি সামনে এল


করোনার ওমিক্রন রূপের একটি পরিবর্তিত রূপ, BF.7 এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চিনে। তার প্রকোপে শীতের তিন মাসেই চিনে অতিমারির তিন ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে বিপদবাণী শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে চিনে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে বলে উঠে এসেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে (Omicron BF.7 )।


শোনা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সূচনা ঘটলেও, এই মুহূর্তে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটেছে চিনে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। অতিমারির চলতি ঢেউয়ের আঘাতে দৈনিক সংক্রমণ ৩৭ লক্ষে গিয়ে ঠেকতে পারে জানুয়ারি নাগাদই। লন্ডনের এয়ারফিনিটি লিমিটেড নামক গবেষণা সংস্থার দাবি, মার্চ নাগাদ চিনে দৈনিক সংক্রমণ ৪২ লক্ষে গিয়ে ঠেকতে পারে। 


আরও পড়ুন: Coronavirus In India Live : শনিবার থেকে করোনা বিধি ফিরছে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে


চিনে পরিস্থিতি যে বেগতিক তা সরকারি বিবৃতিতেও উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের অধিকাংশই উপসর্গহীন। ফলে দৈনিক সংক্রমণের যে সরকারি হিসেব প্রকাশ করা হচ্ছে, তাতে বাদ পড়ে যাচ্ছেন উপসর্গহীনরা। করোমার পরিবর্তিত রূপ BF.7-এ এখনও পর্যন্ত যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বিশেষ কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছে, যেমন, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া। অতিমারি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অতি সংক্রামক করোনার এই রূপের প্রকোপে কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্য়ু হতে পারে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে।


BF.7-এ এখনও পর্যন্ত যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের কিছু জনের মধ্যে বিশেষ কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছে, যেমন, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া। অতিমারি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অতি সংক্রামক করোনার এই রূপের প্রকোপে কমপক্ষে ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্য়ু হতে পারে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে।


চতুর্থ বুস্টার ডোজ নিলে প্রকোপ কিছুটা ঠেকানো যেতে পারে!


একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চিনের মোট জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ যদি চতুর্থ বুস্টার টিকা নেন, তবেই সংক্রমণের গতিরোধ করা সম্ভব। তাতে ৩ থেকে ৫৯ বছর বয়সি ৯৫ শতাংশ জনসংখ্যা লাভবান হবেন। তাই ৩ থেকে ৫৯ এবং ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের মধ্যে বুস্টার টিকার হার যদি ৯৫ শতাংশ থাকে, তবেই প্রতি ১০ লক্ষে সামগ্রিক মৃত্যুহার ২৪৯ এবং ৩০৫-এ বেঁধে রাখা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।