ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Swasthya Sathi Scheme) থেকে অপসারিত রাজ্যের ১৪২টি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান। সাময়িকভাবে প্রকল্পের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে (Hopsitals)। ৩ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে অনিয়মের অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ৪টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


কোথাও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অনিয়ম, নেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। কোনও হাসপাতালে আবার ভর্তি-সহ একাধিক ত্রুটি। আবার কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যসাথীর নির্দিষ্ট গাইডলাইন। এমন একাধিক অভিযোগে এবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতার ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল-সহ রাজ্যের মোট ১৪২টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে।


স্বাস্থ্য দফতরের নিজস্ব তদন্তে দেখা গিয়েছে যে একাধিক হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোটুকুও নেই। তার উপর বেশ কয়েকটি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর নির্দিষ্ট নিয়মও মানছে না বলে দেখা গিয়েছে। এরমধ্যে ৪টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং আরও ৪টি প্রতিষ্ঠানে তদন্ত চলছে বলে এই মুহূর্তে রোগী ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 


কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত?
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের পরিষেবা নিয়ে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে অভিযোগ খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনিয়মের কথা বলেছেন,  অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সদস্য উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিরোধীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী নামেই আছে, তার সুফল পাচ্ছে না রাজ্য়ের মানুষ। এই নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা ও চিকিৎসক নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ, চিকিৎসক ও বিজেপি নেতা। বিরোধীদের অভিযোগের পাল্টা জবাব এসেছে রাজ্যের শাসক শিবির থেকে।


কিন্তু রোগ নিরাময়ে যে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভরসা সেখানেই যদি একের পর এক অনিয়ম হয় তাহলে কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ? উঠছে প্রশ্ন।


এর আগেও কড়া নির্দেশ:
কদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। 'স্বাস্থ্যসাথী' প্রকল্পের রোগী দেখতে হলে এ রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন থাকতেই হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিবৃতি জারি করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে 'অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দেখা যাবে না স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের রোগীকে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের রোগী দেখতে থাকতেই হবে বাংলার রেজিস্ট্রেশন। ভিন রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন থাকলে নথিভুক্ত করতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে।'


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ আটকে দেওয়ার অভিযোগে ধর্নার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর