সন্দীপ সরকার, কলকাতা : দেশ জুড়ে ফের গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে ১৯০টি ওষুধ। এই তালিকায় রয়েছে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ইনজেকশন। গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করা ওষুধের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। জানা গিয়েছে, কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগ ল্যাবেও গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে ৪০টি ওষুধ। গত মাসে বাজার থেকে এই সব ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ল্যাবে পরীক্ষার পর রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। কোনও ক্ষেত্রে ইঞ্জেকশনের ভায়ালে ভাসছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। কিছু ওষুধ নামী সংস্থার ব্র্যান্ড নেম জাল করে বানানো। কোনওটা পরিশোধিত জল দিয়ে বানানো হয়নি। বহু বেনিয়ম ধরা পড়েছে ড্রাগ টেস্টিংয়ে।
গত মাসে ১৮৮টি ওষুধ ফেল করেছিল গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায়। এ মাসে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১৯০টি ওষুধ। কলকাতার ল্যাবে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল করেছে পুণের সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেডের তৈরি ওষুধ। এটি একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাদের তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনে ওষুধের পরিবর্তে রয়েছে জল। যথেষ্টই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এই রিপোর্ট। একটি কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি করা অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন ওষুধের বদলে জল দিয়ে তৈরি হয়েছে। আর সেই তথ্য রিপোর্টে তুলেও ধরেছে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থাই। এই রিপোর্ট নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
অন্যদিকে গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় আবার ফেল করেছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি স্যালাইন এবং ইনজেকশন। এই সংস্থার তৈরি ওষুধ, ইনজেকশনের গুণমান নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। গত মাসে এই সংস্থার তৈরি ওষুধের গুণমান যাচাই করা হয়েছিল অসমে এবং তা ফেল করেছিল। এ মাসে কর্ণাটক রাজ্যের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবের পরীক্ষায় ফেল করেছে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি স্যালাইন এবং ইনজেকশন।
অসমের পর কর্ণাটক, ফের পরীক্ষায় ফেল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি স্যালাইন এবং ইনজেকশন। কর্ণাটক রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ফেল সাধারণ স্যালাইন। এর পাশাপাশি শরীরে জল এবং কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য যে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়, তা স্টেরিলিটি টেস্টে ফেল করেছে। কোনও ইনজেকশন স্টেরিলিটি টেস্টে ফেল করার অর্থাৎ হল ওই ইনজেকশনে যে তরল রয়েছে তার বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা। এক্ষেত্রে রিপোর্টে স্পষ্ট যে ইনজেকশনে থাকা তরলের গুণমান সঠিক নয়। অর্থাৎ তা বিশুদ্ধ নয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দুটো ইনজেকশনই পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি।