কলকাতা: পুজোর আগেও অধরাই হয়ে রইল উচ্চ প্রাথমিকের (Job Seekers) চাকরিপ্রার্থীদের 'দাবি।' আর যা নিয়ে দিনের পর দিন প্রতিবাদে নেমে কার্যতই লক্ষ্য পৌছনোর আগেই পড়তে হচ্ছে বাধার মুখে। মূলত বুধবারেও সল্টলেক করুণাময়ীতে প্রতিবাদে নামে ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা।


পুজোর আগেই কাউন্সেলিং ও নিয়োগের দাবিতে এই বিক্ষোভ-আন্দোলন


পুজোর আগেই কাউন্সেলিং ও নিয়োগের দাবিতে এই বিক্ষোভ-আন্দোলন। তবে বদলাল না অবস্থা। এদিন প্রতিবাদে নেমে ফের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় চাকরি প্রার্থীদের।  পুলিশ বাধা দিলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শেষ অবধি ধস্তাধস্তির আকার নেয়। শেষ অবধি চাকরিপ্রার্থীদের চেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে দেয় পুলিশ।


কী দাবি উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের ?


বিক্ষোভকারী ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত তিন-তিনবার নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ হাজার ৩৪৯ জনের মধ্যে ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের মেধা তালিকায় থাকলেও, একজনেরও কোনও নিয়োগ হয়নি বলে ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। 


কী ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?


 প্রসঙ্গত, ৩০ মে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য মূলত সাড়ে ২৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, প্রাথমিকে ১১ হাজার ও উচ্চপ্রাথমিকে ১৪ হাজার ৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। 'দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর' বলেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


'আগামী এক বছরের মধ্যে যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে'


পাশাপাশি রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ হাজার ২০০ অধ্যাপক নিয়োগের ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী এক বছরের মধ্যে যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আগামী এক-দু'মাসের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলেই বলেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


শিক্ষক নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ


প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, চাকরি বাতিল থেকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন, গত কয়েকমাস ধরে রাজ্য ও রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। এর মাঝেই প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক সহ বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ বড় চমক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা।


আরও পড়ুন, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ আংশিক খারিজ