কলকাতা: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ মামলায় (Jogesh Chandra Chowdhury Law College Case) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ আংশিক খারিজ। অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ। অধ্যক্ষার অফিস তালাবন্ধ করার নির্দেশও খারিজ (Order Dismissed)।


'অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ খারিজ'


'অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে তাঁর অফিসে বাধাহীন ভাবে ঢুকতে দিতে হবে। কাল সকাল ৯টায় আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার অধ্যক্ষর অফিসের তালা খুলবেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। অধ্যক্ষকে অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে গভর্নিং বডি', নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের।'ন্যায়বিচারের স্বার্থে সকলের বক্তব্য শোনা দরকার। শুধুমাত্র টেলিফোনিক বাক্যালাপের মাধ্যমে অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ জারি না করলেই পারত সিঙ্গেল বেঞ্চ', মন্তব্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর।মূল মামলা ফেরত গেল সিঙ্গেল বেঞ্চে। শুনানি হবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গল বেঞ্চেই। সেখানেই অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে হলফনামা জমার নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।


কী জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ?


মূলত হাইকোর্টের তরফে এর আগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কলেজে ঢুকতে পারবেন না ২ অধ্যাপক। ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা নেই, তাই অপসারণ, এমনটাই জানিয়েছিলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আইনজীবী অর্ক কুমার নাগকে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করল আদালত। আজই পুলিশকে নিয়ে অধ্যক্ষের অফিসে তালা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। যদিও এই ২ ব্যক্তি যদি তাঁর যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন তা হলে তাঁকে পুনর্বহাল করা হবে। 


আরও পড়ুন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েলে আটকে বাংলার গবেষক


 



যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্যাপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। এই দুষ্কৃতীরা কলেজকে নিজেদের আখড়ায় পরিণত করেছে। এই মামলায়, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়।  ৯ অক্টোবরের মধ্যে এই দুষ্কৃতীদের হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পাশপাশি, শুক্রবার এই কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। মামলার নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন,'যেখানেই দুর্নীতি মাথাচারা দেবে আমি সেখানেই হস্তক্ষেপ করব। '