কলকাতা: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই বি সি রায় হাসপাতালে বাড়ছে শিশু মৃত্যু। গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৪৫ জন শিশুর। 


গতকাল রাত ১১টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়ার বাসিন্দা এক শিশুর মৃত্যু হয়। এর পর রাত ১টা নাগাদ বি সি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয় বনগাঁর বাসিন্দা ৫ মাসের শিশুকন্যার। রাত ১টা নাগাদ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয় বি সি রায় হাসপাতালে। জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় মৃত্যু বলে হাসপাতালের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে । 


গতকালের হিসেব অনুযায়ী, বি সি রায় হাসপাতালে কাল পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল ৪ শিশুর । যার মধ্যে একজন অ্যাডিনো পজিটিভ । বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৪১ জন শিশুর। তবে আজ সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ জন। 


চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই গতকাল চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে বি সি রায় হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়াল। দত্তপুকুরের বাসিন্দা দেড়বছরের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, গতকালই শিশুর ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর কীভাবে সুস্থ শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার। বি সি রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


অ্যাডিনো-মোকাবিলায় গতকালই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছে টাস্ক ফোর্স। দুপুর ২টো নাগাদ বৈঠক শুরু হয় বৈঠক। বিভিন্ন হাসপাতালে কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে, তাদের মধ্যে কতজন অ্যাডিনো আক্রান্ত, পরিকাঠামোর কোনও খামতি রয়েছে কি না, বেডের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন কি না, কীভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে, এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। এ ছাড়াও, কোন হাসপাতালে কতগুলি বেড খালি রয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তা অসুস্থ শিশুর পরিবারকে জানানো যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। অ্যাডিনো-পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিকভাবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে । অ্য়াডিনো সংক্রমণ মোকাবিলা এবং আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়টি তদারকির জন্য় ৮ সদস্য়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে রাজ্য় সরকার। যার চেয়ারম্যান মুখ্যসচিব ।