রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের (Bhangor) আলাকুলিয়াতে বোমা (bomb) উদ্ধার (discovery)। পরিত্যক্ত ব্যাগ (desserted bag) থেকে চারটি তাজা বোমার (active bombs) খোঁজ মেলে আলাকুলিয়ার ভোগালি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। খবর পেয়েই আসে কাশিপুর থানার পুলিশ, পৌঁছয় বম্ব স্কোয়াড। এলাকায় আতঙ্ক। অতীতে কখনও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি স্থানীয়দের। কী ভাবে ওই এলাকায় বোমা এল, কে বা কারা এর নেপথ্যে জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড় যেন মুক্তাঞ্চল, একের পর ঘটনায় বলছেন স্থানীয়দের অনেকেই।
একের পর এক ঘটনা...
সম্প্রতি ভাঙড়ের নাটাপুকুরে অত্যাধুনিক বোমা তৈরির কারখানার হদিশ মিলেছিল। একাধিক বার উদ্ধার হয়েছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। এবার বোমা উদ্ধার হল ভাঙড়ের ভোগালিতে। কী বলছে প্রশাসন? বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পুষ্পা বলেন, 'পুলিশ সব সময় সতর্ক রয়েছে। যখনই যেখানে খবর পাচ্ছে, আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। ' তা হলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে লাগাতার এই রকম অভিযান চলবে? পুলিশ সুপারের বক্তব্য, আমজনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁরা সব সময়ই তৈরি। কিন্তু তার পরও কেন বার বার ঘটে চলেছে একই ঘটনা?
নাটাপুকুরের ঘটনা...
চলতি মাসের গোড়াতেই ভাঙড়ের নাটাপুকুর থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির মশলা, সরঞ্জাম। বোমা কারখানার মালিক, ধৃত, নবিরুল মোল্লার দাবি ছিল, তিনি ISF করেন। ISF-এর চাপেই বোমার কারবার চলত বলে বিস্ফোরক দাবি করেন ধৃতের স্ত্রী। এদিকে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ISF বিধায়ক। ভাঙড়ে বোমার কারখানার হদিশ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ' এটাই এখন এ রাজ্যের একমাত্র শিল্প। যে শিল্পের মালিক তৃণমূলের নেতারা। মাঝে মাঝে টেস্ট হচ্ছে', এলাকা মুক্তাঞ্চল হয়ে গেছে '। ভাঙড়ে বোমার কারখানা থেকে উদ্ধার হয় ৫টি সকেট বোমা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি, ১৫ কেজি বোমা তৈরির মশলা, বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারের আগে ফেসবুকে গুলি-বোমা হাতে নিয়ে ছবি পোস্ট করে শামসুদ্দিন রহমান। সেই সূত্র ধরেই পুলিশি অভিযানে ভাঙড়ে বোমার কারখানার হদিশ মেলে। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া বোমা তৈরির মশলা অত্যাধুনিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার হয়। বাজেয়াপ্ত ১৫ কেজি মশলা দিতে তৈরি করা যেত প্রায় ৫০০ অত্যাধুনিক বোমা। দাবি পুলিশের।