চেন্নাই: মাঝরাতে তামিলনাড়ুর (tamil nadu) উপকূলে (coast) তাণ্ডব চালাল 'মান্দাস' (mandous) । ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তার দাপটের জের স্পষ্ট। চেন্নাই-সহ (chennai) দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন (waterlogging) বলে বোঝা যায়। তবে আশার কথা একটাই। শক্তি হারিয়ে এখন এটি সাধারণ নিম্নচাপে (depression) পরিণত হয়েছে।


কী পরিস্থিতি?
গত কাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তামিলনাড়ু উপকূলে মান্দাস-র ল্যান্ডফল শুরু হয়েছিল। চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। এর মধ্যে চেঙ্গলপট্টু ও লাগোয়া চেন্নাইয়ের শয়ে শয়ে গাছ উপড়ে পড়ে যায় ঝড়ের তাণ্ডবে। চেন্নাই শহরের টি-নগর এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে তিনটি গাড়ি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশনের কমিশনার গগনদীপ সিংহ বেদী বলেন, 'অন্তত ২০০টি গাছ পড়েছে। আমরা রাত থেকে তা সরানোর কাজে হাত লাগিয়েছি।' তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় আগেই শহরের বুক থেকে হোর্ডিং সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই বড় বিপর্যয় আটকানো গিয়েছে। তুমুল ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি চেন্নাইয়ে ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিও হয়েছে বলে খবর। জল জমে রয়েছে শহরের বিরাট অংশে। বহু বাড়ি ভেসে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে শহরের বিস্তীর্ণ অংশে যান চলাচল আটকে থাকে। তবে পরে তা চালু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকার পর এলাকা। যদিও রাজ্যের বিদ্যুমন্ত্রীর দাবি, দ্রুত পরিষেবা ফেরানো হবে। এসবের মধ্যে আশার আলো একটাই বলে মনে করছে তামিল সরকার। বড়সড় কোনও বিপর্যয় ঘটেনি। 


আর কোথায় কী?
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মমল্লপুরম লাগোয়া কোভালমেও। সমুদ্রসৈকতে যে দোকানপাট ছিল সেগুলির চাল ক্ষতিগ্রস্ত। মান্দাসের ধাক্কায় বিপর্যস্ত বহু নৌকো। বৃষ্টি শুরুর আগেই প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৩টি ঘরোয়া ও ৩টি আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল করা হয়। তবে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, সে জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল এম কে স্ট্যালিনের প্রশাসন। দশ জেলায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি ৫ হাজার ত্রাণশিবিরও খুলে রাখে তারা। তবে মান্দাসের জেরে বিপুল বৃষ্টি হচ্ছে লাগোয়া অন্ধ্রপ্রদেশেও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এদিন সকালে বৈঠক ডাকেন মুখ্য়মন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি। 


আরও পড়ুন:স্তম্ভে ধাক্কা মেরে উল্টোল গাড়ি, পার্ক সার্কাসের দুর্ঘটনায় ফের মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগ