মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুরে (Durgapur) চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একই পরিবারের ৪ জনের রহস্যমৃত্যুর (mystry death) ঘটনায় ছড়াল উত্তেজনা। একই বাড়ি থেকে উদ্ধার হল দম্পতি (couple) ও তাঁদের দুই সন্তানের (two children) নিথর দেহ।


একই বাড়ি থেকে উদ্ধার পরিবারের ৪ সদস্যের মৃতদেহ


দুর্গাপুর শহরের কুনুরিয়াডাঙার বাসিন্দা জমি ব্যবসায়ী অমিত মণ্ডল। আজ সকালে বাড়ি থেকে বছর পঁয়ত্রিশের অমিতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিছানায় পড়েছিল স্ত্রী রূপা এবং ৭ ও ৩ বছরের দুই ছেলেমেয়ের মৃতদেহ। রূপা স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অমিতের মামারবাড়ির সঙ্গে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। স্ত্রী, সন্তানদের খুন করে ওই ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সন্দেহ প্রতিবেশীদের। মৃত ব্যবসায়ীর মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। 


প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পঞ্চসায়র থানা এলাকার নয়াবাদে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্য়ুর ঘটনা ঘটে। আবাসনের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। ৬৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর নাম বিজয় মণ্ডল। তার আগের রাত আড়াইটে নাগাদ নয়াবাদের আবাসনের ছাদে প্রতিবেশীরা তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পঞ্চসায়র থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। আত্মহত্যা নাকি, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর মৃত্য়ুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখতে শুরু করে পঞ্চসায়র থানার পুলিশ।


এছাড়া বেহালার পলিটেকনিক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার হয় ৭ দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রের পচাগলা মৃতদেহ। বছর ১৯-এর হার্দিক দাস বেহালার সেনহাটি কলোনির বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, জ্ঞান ঘোষ পলিটেকনিকের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হার্দিক গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কলেজ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। রাতে না ফেরায়, বেহালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।  


আরও পড়ুন: North 24 Paraganas: বিএসএফের তৎপরতায় কয়েক কোটি মূল্যের সোনার বিস্কুট উদ্ধার, গ্রেফতার ১


পরিবারের দাবি, নিখোঁজ পড়ুয়ার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে টালা ও দমদম স্টেশনে টাওয়ার লোকেশন মেলে। রেল পুলিশের দেওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই ছাত্রকে দমদম স্টেশনে এক যুবকের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায়। এরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল উলুবেড়িয়ার হীরাপুরে গঙ্গার ঘাট থেকে নিখোঁজ ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। কীভাবে মৃত্যু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুন না কি আত্মহত্যা? তদন্তে পুলিশ। জ্ঞান ঘোষ পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন, হার্দিক।