সমীরণ পাল, উত্তর ২৩ পরগনা: বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের তৎপরতায় উদ্ধার ২.৭৮ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনার বিস্কুট (Gold Bars)। পাকড়াও করা হয়েছে পাচারকারীকেও (Smuggler)।


ধৃত সোনার বিস্কুট পাচারকারী


সোনা চোরাচালান বন্ধ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২.৭৮ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ৪০টি সোনার বিস্কুট-সহ পাচারকারী পাকড়াও করল বিএসএফ। 


গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন আইসিপি পেট্রাপোল, ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে ৪৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে। পেশায় সে ট্রাক ড্রাইভার বলে পরিচয় দেয়। বাজেয়াপ্ত সোনার মোট মূল্য ২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫৬১ টাকা।


কর্তব্যরত জওয়ানরা গোপন সূত্রে খবর পান যে এক ট্রাক চালক আদতে চোরাকারবারী আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করতে চলেছে। খবর মিলতেই কাজে লেগে পড়েন জওয়ানরা। বিএসএফ আধিকারিকদের নির্দেশ অনুসারে জওয়ানরা একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। এর কিছুক্ষণ পর এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি ট্রাক আইসিপি পেট্রাপোল দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। বিএসএফের অনুসন্ধান দল তল্লাশির জন্য ওই ট্রাকটিকে থামায়। ওই ট্রাকে করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মাছ আনা হচ্ছিল। জওয়ানরা পুরো ট্রাকটির নিখুঁত তল্লাশি করে। তখনই মাছের বাক্সের নিচ থেকে ৪০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। অবিলম্বে সেই ট্রাক ও সোনাসহ ট্রাক চালককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয় চালককে। ওই পাচারকারীর নাম সুশঙ্কর দাস। সে বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলে খবর।


জিজ্ঞাসাবাদে ওই ট্রাক চালক জানায়, সে ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছে। সে আরও জানায়, ট্রাকের মালিক সাতক্ষীরার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম, রয়েস ইন্টারন্যাশনাল, সাতক্ষীরা থেকে এই ট্রাকে মাছ বোঝাই করেছিল। এরপর ভারতে আসার পর এসব মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনালের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু আইসিপি পেট্রাপোলে বিএসএফ অনুসন্ধান দল তল্লাশির সময় তাকে সোনার বিস্কুট সহ আটক করে নেয়। আটক পাচারকারীকে সোনার বিস্কুট ও ট্রাকসহ কাস্টম অফিস, পেট্রাপোল, তেঁতুলিয়ায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Recruitment Scam: শান্তনু-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট


দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, যে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্তে বসবাসকারী লোকেদের বিএসএফ-এর 'সীমা সাথী' হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য দেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর জারি করেছে যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যায়। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।