কলকাতা: ভোট পিছিয়ে দিতে সায় রাজ্যের (West Bengal)। নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) এমনটাই চিঠি দিয়ে জানাল রাজ্য। আদালতের নির্দেশের পর রাজ্যের অবস্থান জানতে চায় কমিশন (State Election Commission)। তারপরেই আজ চিঠি দিয়ে নিজেদের মতামত জানায় রাজ্য (West Bengal Government)। চিঠিতে রাজ্য জানিয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতি (Covid Situation) মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য। তবে ভোট পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই।’ দুপুরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভোট পিছনোর কথা ঘোষণা করতে পারে কমিশন। 


উল্লেখ্য, করোনা আবহে ৪ পুরসভার ভোট পিছনোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। একই আবেদন জানিয়েছে বিজেপিও। এখন করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে এখন পুরভোট না হওয়াই ভাল। এমনটা মনে করছেন চিকিৎসকরা।


আরও পড়ুন: Assembly Election 2022 : উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যের প্রচারে কি আরও রাশ ? আজ বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার


বকেয়া পুরভোট (WB Municipal Polls) দু’সপ্তাহ পিছোতে চায় রাজ্য। সেই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) কাছে আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতিতে সব দিক পর্যালোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি, রাজ্যের চার পুরসভা বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়িতে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সেই সিদ্ধান্তই বদলের আর্জি জানাল রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। 


রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেটও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এরই মধ্যে চলছে গঙ্গাসাগর মেলা। কিন্তু পুরভোট নিয়ে ফের চিন্তাভাবনা করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, এমনটাই এদিন জানানো হয় হাইকোর্টের তরফে। 


কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘পুরভোট ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছনো যায় কি? রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হবে কমিশনকে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে। এই সময়ে ভোট হলে তা কি মানুষের স্বার্থে হবে? সেই ভোট কি অবাধ ও সুষ্ঠু হবে? সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভোট পিছনোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের’। 
 
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চিকিৎসক কুণাল সরকার জানিয়েছেন, "এমনিতেই গঙ্গাসাগর নিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে বসে আছি। আগুনের সামনে বসে। ৪৮ ঘণ্টা নয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায়।" তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে তা মানতে হবে। তবে সব জায়গায় তো ভোট হচ্ছে।"


সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোভিডের সংক্রমণ কমাতে, ২ মাস সব কিছু স্থগিত করা উচিত। তিনি বলেছিলেন, "প্রথমে বড়দিন পালন, তারপর নতুন বছর পালন। দুর্গাপুজো কোথাও কালীপুজো , কোথাও এই অনুষ্ঠান, কোথাও সেই অনুষ্ঠান... এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমি আপনাদের আবার বলছি, এগুলো বন্ধ রেখে আমাদের, এখন রাজ্য সমাজকে বাঁচানোর লক্ষ্যে নিজেদেরকে আত্মনিয়োজিত করতে হবে। মানুষের প্রাণ বাঁচলে আগামী দিনে সব আস্তে আস্তে হবে।"