কলকাতা: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Chaos) ইডির উপরে হামলায় ধৃত ৪ জনেরই জেল হেফাজত। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান, কাউকেই হেফাজতে চাইল না পুলিশ। 


ধৃত ৪ জনেরই জেল হেফাজত: সন্দেশখালিতে ED-র উপর হামলার ঘটনায়, গতকাল আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল ন্যাজাট থানার পুলিশ। মিনাখাঁর খড়িবেড়িয়া থেকে গতকাল আলি হোসেন ঘরামি এবং ন্যাজাট থেকে গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় মণ্ডলকে। এদিন তাদের আদালতে তোলা হয়। এদিন ধৃতদের জামিনের আবেদন করে দাবি অভিযুক্তদের আইনজীবী দাবি করেন, 'এফআইআরে নাম থাকা কাউকে বাঁচাতে নিরাপরাধদের ধরছে পুলিশ। প্রথমে ২জনকে গ্রেফতার করে বাকিদের নাম পাওয়া ছাড়া কোনও তথ্য নেই। এলাকায় ছিল না, তাও গ্রেফতার করা হয়েছে।' পাল্টা দাবি জামিনের বিরোধিতা সরকারি আইনজীবী বলেন, 'সরকারি কর্মীদের মারধরে অভিযুক্ত ধৃতরা।' জামিনের আর্জি খারিজ করে ধৃত ৪জনেরই ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজত দেয় আদালত। 


কী ঘটেছিল?


গত ৬ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষের শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। বাড়িতে গিয়ে বারবার ডাকাডাকি সত্ত্বে সাড়া মেলেনি কারও। ১ ঘণ্টা অপেক্ষার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী তালা ভাঙার চেষ্টা করতেই তৈরি হয় বিপত্তি। কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হন। কেন না জানিয়ে ইডির হানা? প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান তারা। ইডির আধিকারিকদের মারধর শুরু করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। ধাওয়া করে ইডি আধিকারিকদের এলাকা ছাড়া করা হয়। ভাঙচুর করা হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়ি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে। সংশ্লিষ্টদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। 


ED-র ওপর হামলার পর, ১০ দিন পার হতে চলল এখনও অধরা তৃণমূলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহান। এর প্রেক্ষাপটে এবার খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করলেন, কেন আত্মসমর্পণ করছেন না শেখ শাহজাহান? সোমবারই গোপনপুরী থেকে, আইনজীবী মারফত মামলায় যুক্ত হওয়ার আবেদন করেন, শেখ শাহজাহান।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Newtown Fire: নিউটাউনের জ্যোতিনগরে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল চারটি বাড়ি