কলকাতা: শীত মানেই ঘন কুয়াশা। চারপাশ ঝাপসা। আর শীতের সঙ্গেই সমার্থক হল আবহাওয়ার বেহাল দশা। গোটা শীত জুড়েই বিগড়ে থাকে দিনের আবহাওয়া। এই সময় দূষণের পরিমাণও অনেকটাই বেড়ে যায় (Poor Air Quality)। এর মধ্যেই রোজ অফিস, স্কুল, দরকারে-অদরকারে বাইরে বেরোতে হয়। শীতকালে বাতাসের দূষণের কারণেই ঘন ঘন শরীর খারাপ হয়। সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বরে ভুগতে থাকে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষই। তাহলে এই সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করার উপায় কী ? এ ব্যাপারে এবিপি লাইভের সঙ্গে বিশদে কথা বললেন ফর্টিস হাসপাতালের কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট হিন্দোল দাশগুপ্ত। দূষিত আবহাওয়ার মধ্যে নিজেকে সুস্থ রাখতে বেশ কয়েকটি টিপস দিলেন চিকিৎসক (Tips to protect yourself from Poor Air Quality)।


দূষিত আবহাওয়ার মধ্যেও নিজেকে সুস্থ রাখার উপায় 



  • সচেতন থাকুন: প্রথমেই নিজের এলাকায় আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। রোজ আপনার এলাকায় বাতাসে দূষণমাত্রা কতটা, তা জেনে রাখা ভাল। এর জন্য আবহাওয়ার খবরের উপর নির্ভর করতে পারেন।

  • সঠিক সময় বেছে নিন: যখন দূষণের মাত্রা কিছুটা কম, তখন বাইরে বেরোন। বেশিরভাগ জায়গায় রোদ উঠলে বাতাসের অবস্থা ভাল হতে থাকে। তাই খুব ভোর ভোর বাইরে না বেরিয়ে একটু দেরিতে বেরোন ভাল।

  • মাস্ক পরুন: কাজ থাকলে বাইরে না বেরিয়ে উপায় নেই। সেক্ষেত্রেও যে উপায় নেই, তা নয়। বরং মাস্ক পরে বাইরে বেরোতে পারেন। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে। বর্তমানে দূষক পদার্থ আটকানোর জন্য বিশেষ ধরনের মাস্ক তৈরি করা হয়। সেগুলি বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে উপলব্ধ। শহর এলাকায়, গাড়িঘোড়ার জ্যামের মধ্যে এই মাস্ক আপনাকে সুস্থ রাখবে অনেকটাই।

  • নিয়ম করে জল খান: শীত পড়তেই জল খাওয়া কমে যায় আমাদের। চিকিৎসকের কথায়, এই অভ্যাস আমাদের বেশ কিছু ক্ষতি করে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ফুসফুসের উপর বেশ চাপ পড়ে। শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকলে তা ফুসফুসের কাজ ঠিক রাখে। তাছাড়া ফুসফুসে সংক্রমণ হলেও জল তা সারিয়ে তুলতে কিছুটা সাহায্য করে। তাই দিনে জল পর্যাপ্ত পরিমাণে খান। অন্তত আট গ্লাস জল খাওয়ার টার্গেট রাখুন।

  • ধূমপান কমানো: বায়ুদূষণের কারণ আদতে মানুষেরই কিছু অভ্যাস। তাই দূষিত আবহাওয়া থেকে নিজেদের বেশ কিছু অভ্যাসেও বদল আনা জরুরি। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রাথমিক হল ধূমপান। এটি একদিকে যেমন নিজের শরীরের খারাপ প্রভাব ফেলে, অন্যদিকে আশেপাশের মানুষেরও ক্ষতি করে। তাই ধূমপান বন্ধ করাও বিশেষভাবে জরুরি।


আরও পড়ুন: Red Ant Chutney GI tag: লাল পিঁপড়েতে এমন কী জাদু ? কেনই বা এর চাটনি জিআই ট্যাগ পেল? খেতে হলে কীভাবেই বা রাঁধবেন