কলকাতা: SLST নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে মেয়ো রোডে গান্দী মূর্তির নীচে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন। আজ তাঁদের অবস্থান ৬০০ দিনে পড়ল। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে একাধিকবার প্রশাসনের বৈঠক হলেও সমাধানসূত্র মেলেনি।


হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জনের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিলেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা। সেই তথ্য মেলার পর সকলকে মামলা সংক্রান্ত পিটিশন পাঠানো হবে। 


২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের ওপর আগেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো শুরু হল ২৬৯ জনকে মামলায় সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া। মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে বেশকিছু তথ্য চেয়ে চিঠি দিলেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে যেসব তথ্য চাওয়া হচ্ছে, তা হল, চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জনের নাম, তাঁদের ঠিকানা, বয়স, চাকরি বাতিল হওয়ার সময়ে যে বিদ্যালয়ে তাঁরা শিক্ষাকতা করতেন, তার নাম। পর্ষদের থেকে সমস্ত তথ্য পাওয়ার পর, মামলা সংক্রান্ত পিটিশন তাঁদেরকে পাঠানো হবে। ফলে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জনকে মামলায় সংযুক্ত করার কাজ শুরু হয়ে গেল এদিন থেকেই। ২০১৪’র টেটে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা যে, ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল, 


বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের সকলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীদের একাংশ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সিলমোহর দেয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারীরা। গত ১৮ অক্টোবর, সর্বোচ্চ আদালত এই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি এই ২৬৯ জনকে আবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত। 


সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, সিঙ্গল বেঞ্চ এই ২৬৯ জনকে মামলায় যুক্ত করবে এবং তারপর তাঁদের বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মতোই এদিন ২৬৯ জনকে মামলায় সংযুক্তিকরণের কাজ শুরু হল।


টেটের নম্বর প্রকাশ নিয়ে কী ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? জানতে চাইল হাইকোর্ট। গত ১ নভেম্বরই মামলাকারীদের আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করুন পর্ষদ সভাপতি। ইচ্ছাপ্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফোনেই এই বিষয়ে পর্ষদ সভাপতিকে অবগত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। মামলাকারীদের দাবি, ২০১৪ বা ২০১৭, কোনও বারেই প্রাথমিক টেটের নম্বর প্রকাশ্যে আনেনি পর্ষদ। যাঁরা দুটি টেটেই পাশ করেছেন, তাঁরা যদি নম্বর জানতে পারেন তাহলে যে টেটে তাঁরা বেশি নম্বর পেয়েছেন, সেই টেটের শংসাপত্র সদ্য শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জমা দেবেন। ফলে নিয়োগে তাঁরা বর্ধিত সুবিধা পাবেন বলে দাবি মামলাকারীদের। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার মামলার শুনানি।