অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: দুর্গম জয়ন্তী পাহাড়। আর সেখানেই বড় বড় মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে ৪ দিন ধরে আটকে গিয়েছিলেন ৭ যুবক। সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যে ব্যর্থ হয়েছিল। এরপরই স্থানীয় যুবকদের একটি দল সেই উদ্ধারকার্যে সামিল হয়। এরপরই সেই ৭ যুবককে উদ্ধার করা গিয়েছে এদিন। প্রত্যেককেই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


ঠিক কী হয়েছিল?


স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে যে, গত শনিবার জয়ন্তীর বড় মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন ৭ যুবক। প্রত্যেকেই আলিপুরদুয়ার শহরের বাসিন্দা। রবিবার তাদের ফিরে আসার কথা থাকলেও প্রবল বৃষ্টির কারণে তাঁরা আটকে যান। এছাড়াও জয়ন্তী নদী ফুলে ফেঁপে উঠে ভয়ঙ্কর আকার নেয়। ফলে তাঁদের পক্ষে পাহাড়ি পথে নদী পার করে আসা রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়ে। 


কিছু খাওয়ার নিজেদের সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন সেই ৭ যুবক। কিন্তু তাও শেষ হয়ে গিয়েছিল। মোবাইলে বাড়ির সাথে তাঁরা যোগাযোগ করলে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় কোনও রকমে কিছু খাওয়ার সেখানে পাঠাতে সক্ষম হলেও তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আজ প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকারী দল উপস্থিত হলেও পাহাড়ি এই ঝুকিপূর্ণ পথে তাঁরা উদ্ধার কাজ শুরু করতে অক্ষম হয়। যদিও পরিবার এবং প্রশাসনিক উদ্যোগে স্থানীয় প্রায় ১০ জনের যুবক দল ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের উদ্ধারে নামে। এরপরই সেই ৭ যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের আলিপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে।


কিছুদিন আগেই কালিম্পঙের কালীঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। যানজট যাতে না হয় সেই কারণে বিকল্প রাস্তার মাধ্যমে যানবাহনগুলিকে বাইপাস করানোর চেষ্টা করা হয়। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। গত কয়েকদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি চলছে দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায়। সম্প্রতি হড়পা বান নামে দার্জিলিংয়ের ধুলিয়া গ্রামেও। কালিম্পঙের কালীঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। যানজট যাতে না হয় সেই কারণে বিকল্প রাস্তার মাধ্যমে যানবাহনগুলিকে বাইপাস করানোর চেষ্টা করা হয়। ধসের কারণে সকাল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়। বহু গাড়ি আটকে পড়ে । ঘটনার ৫ ঘণ্টা পর রাস্তা পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে বলেই খবর। এই ধসের পর শিলিগুড়ির সঙ্গে গ্যাংটক এবং কালিম্পঙের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়। কার্শিয়াং-জোরবাংলো লোপচো এবং অন্যান্য রুটে যান চলাচল করানো হয়।