অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলসিভাঙা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বনদফতর এর গাড়ি ভাঙল একটি দল ছুট দাঁতাল হাতি। জানা গেছে শুক্রবার সকাল থেকে একটি দলছুট হাতি ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলসিভাঙ্গা এলাকায় গিয়ে তান্ডব চালায়। মাঠে গিয়ে ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি লোকালয়ে গিয়ে দাপিয়ে বেড়ায়। শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল। তাই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দের যাতে কোনরকম অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় তার জন্য ওই হাতিটিকে নজরদারি করার জন্য ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও বন দফতর।
কিছুদিন আগেই ফের দাঁতাল হাতির দাপাদাপিতে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার ঝালদাতে। শহর লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়লো একটি দল ছুট হাতি। সোমবার সন্ধ্যার সময় জঙ্গল থেকে ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদা গ্রামে ঢুকে পড়ে এই দাঁতালটি। বন বিভাগের কর্মীরা তাঁকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়।
এরপর দাঁতালটি ঝালদা লাগোয়া দারদা গ্রামের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। হাতির ভয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পরে যায়। আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা গ্রামে। যদিও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকার প্রাণী নয় গজরাজ। হাতিটি এক গ্রামের ভেতর দিয়ে ঢুকে গ্রামের অন্য প্রান্ত দিয়ে বেরিয়ে যায়। বনদফতরের কর্মীদের আশঙ্কা ঝালদা শহরের লাগোয়া এই দারদা গ্রাম হওয়ায় হাতিটি যেকোনও সময় ঝালদা শহরে চলে আসতে পারে।
এই আশঙ্কা থেকে ঝালদা থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা শহরবাসীকে ঘর থেকে না বেরোনোর কথা জানিয়েছেন। হাতির আতঙ্কে শহর ঝালদায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই খবর আসে হাতিটি ঝালদা থানা এলাকার পাটঝালদার গ্রাম হয়ে কোটশীলা থানার লুপুংডির দিকে চলে যায়।
বনদফতরের কর্মীরা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে হাতিটি ঝালদা ২নম্বর ব্লকের ঝাড়খণ্ড লাগোয়া সিমনী জাবর জঙ্গলে অবস্থান করছে। বন বিভাগের কর্মীরা হাতিটিকে ঝাড়খন্ডের দিকে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এর আগে, ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে রয়্যাল বেঙ্গলকে কাবু করা সম্ভব হয়েছিল। বন দফতর সূত্রে খবর, কুলতুলির ডোঙাজোড়ায় শেখপাড়ার জঙ্গলে বাঘকে কাবু করার জন্য ২টি ঘুম পাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি লাগে কাঁধে, অন্যটি পায়ের নীচে। এরপর বাঘটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। বাঘটিকে প্রথমে খাঁচাবন্দি করা হয়। তারপর সেই খাঁচা নিয়ে আসা হয় লঞ্চে। সেখানেই বন দফতরের চিকিত্সক বাঘটিকে পরীক্ষা করছেন। রয়্যাল বেঙ্গল সুস্থ থাকলে তাকে জঙ্গলে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে বন দফতরের।