পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: আবগারি দফতরের (Excise Department) অভিযানে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণ চোলাই মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। আজ পৃথক পৃথক ভাবে দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ চোলাই ও চোলাই তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করল আবগারি দফতর।
আবগারি দফতরের অভিযান: বাঁকুড়া সদর থানার জামবনি এলাকা থেকে রথীন মণ্ডল নামে এক চোলাই ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে সদর আবগারি সার্কেল। তার কাছ থেকে ৪০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। আজ তাঁকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকার রাজামেলা, নবগ্রাম সহ বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ সুত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় ছাতনা আবগারি সার্কেল। সেখান থেকেও প্রায় সাড়ে ৭০০ লিটার চোলাই মদ ও ৩০ লিটার চোলাই তৈরি সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে আবগারি দফতর। আগামীদিনও চোলাই এর বিরুদ্ধে আবগারি দফতর এই অভিযান চালাবে বলেই দাবি আবগারি আধিকারিকের। এর পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে করা হবে প্রচার।
অস্ত্র হাতে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে তাণ্ডব: এদিকে মোমিনপুরে অস্ত্র হাতে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ঢুকে পড়লেন ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালানোর পর পুলিশ এসে আটক করে অভিযুক্তকে। ওই ব্যক্তি মত্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মীরা। কী কারণে অস্ত্র নিয়ে চড়াও হলেন তিনি? জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ধারাল অস্ত্র নিয়ে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে তাণ্ডব চালালেন এক ব্যক্তি। চাঞ্চল্যকর ঘটনা মোমিনপুরের খিদিরপুর সার্ভিস ডিসপেন্সারিতে। চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মীদের দাবি, মোমিনপুরের বাসিন্দা নিজামউদ্দিন খান প্রায়ই এখানে চিকিৎসা করাতে আসতেন। শুক্রবার দুপুরে স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে আসেন তিনি। অভিযোগ, আচমকা ব্য়াগ থেকে ধারাল অস্ত্র বের করে ভয় দেখাতে শুরু করেন নিজামউদ্দিন। সে সময় চিকিৎসাকেন্দ্রে বেশ কয়েকজন রোগী ছিলেন। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চিকিৎসকরাই ১০০ ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে একবালপুর থানার পুলিশ। চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মীদের দাবি, নেশাগ্রস্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। নিজামউদ্দিন খান ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ধারাল অস্ত্রগুলি। কী কারণে ধারাল অস্ত্র নিয়ে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে চড়াও হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি, খতিয়ে দেখছে একবালপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: TMC Meeting: পঞ্চায়েতের আগে জেলার দায়িত্বে পুরনো নেতারা, পর্যবেক্ষক মডেল ফিরল তৃণমূলে