উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নতুন সিলেবাস (new syllabus) তৈরি হচ্ছে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের। এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Bose) উপস্থিতিতে বিকাশ ভবনে হল সিলেবার কমিটির প্রথম বৈঠক। সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় পরীক্ষা মাথায় রেখে আধুনিক সিলেবাস তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।


এ বছর ১১ লক্ষের উপর ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন প্রায় সাড়ে ৭ লক্ষ। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে ২০ লক্ষের কাছাকাছি পড়ুয়ার জন্য এবার সিলেবাসে আসছে বদল। নতুন সিলেবাস তৈরিতে হাত দিল শিক্ষা দফতর।


বিকাশ ভবনে বৈঠক: শুক্রবার বিকাশ ভবনে (Vikash Bhawan) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে সিলেবাস কমিটিরর বৈঠক বসে। সূত্রের খবর, ২২ জন সদস্য ও ৯ জন মেন্টরকে তৈরি হয়েছে কমিটি। প্রতি বিষয়ে রাখা হয়েছে একজন করে মেন্টর। তাঁর অধীনে কয়েকজন শিক্ষক থাকছেন। স্কুল শিক্ষকদের পাশাপাশি, অধ্যাপকদেরও রাখা হয়েছে কমিটিতে। কমিটির সদস্যরা পাঠ্যপুস্তক দেখে, সিলেবাস সম্পর্কে মতামত জানাবেন।


প্রায় ১ হাজার ৩০০ স্কুলে সমীক্ষা করে দেখা হবে, ইতিমধ্যে যে সিলেবাস ছিল তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে দ্রুততার সঙ্গে কাজের বার্তা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আধুনিক সিলেবাস তৈরি করাই লক্ষ্য। এমন সিলেবাস তৈরি করতে হবে যাতে, সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বাংলার পড়ুয়ারা ভাল ফল করতে পারে। ২০১১ সালে প্রথমবার শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সিলেবাস পুনর্গঠনে হাত দেন ব্রাত্য বসু। দ্বিতীয় দফার শিক্ষামন্ত্রী হয়ে ফের নতুন সিলেবাস তৈরিতে নজর দিলেন তিনি। 


গরমের ছুটির তরজা: অন্যদিকে স্কুলে গরমের ছুটি নিয়ে তরজা চলছেই। সরকারের নির্দেশের পরও, অফলাইন ক্লাস চলল শহরের একাধিক বেসরকারি স্কুলে। অবশ্য, কেউ ফিরেছে অনলাইনে, কেউ কেউ গরমের ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিক্ষোভের সুর শোনা গেছে অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে। 


শুক্রবার থেকেই সমস্ত বেসরকারি স্কুলে বন্ধ করতে হবে অফলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাস করাতে হবে। নয়তো এগিয়ে আনতে হবে গরমের ছুটি। বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। প্রচণ্ড গরমের দাপটে, ২ মে থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে গরমের ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো বিজ্ঞপ্তি দেয় শিক্ষা দফতর। 


আরও পড়ুন: Burdwan: শক্তিগড়ে মিষ্টিহাব প্রকল্প নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর


নবান্ন থেকে সেই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতেও। কিন্তু, তারপরও শহরের একাধিক বেসরকারি স্কুলে চলছিল সশরীরে পঠনপাঠন। সরকারের নির্দেশের পরও কেন খোলা ছিল স্কুল? এই প্রশ্ন তুলে, বৃহস্পতিবার, সেই সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয় বিকাশ ভবনে।  শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, নির্দেশ দেওয়া হয়, সমস্ত বেসরকারি স্কুলে, শুক্রবার থেকে অনলাইন ক্লাস করাতে হবে। 


নয়তো এগিয়ে আনতে হবে গরমের ছুটি। কিন্তু, এরপরেও, শুক্রবার দেখা গেল, কলকাতায় একাধিক স্কুল খোলা রয়েছে। চলছে ক্লাস। এ দিকে, বেসরকারি স্কুলগুলিকে দেওয়া সরকারের এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের একাংশ। অভিভাবকদের দাবি, যেটা বলছে, সেটা মেনে নেওয়া যায় না। গরম তো কম গেছে। আমরা ভেবেছিলাম চালাবো। দেখি কী করি।