কমলকৃষ্ণ দে, শক্তিগড়: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর(Cheif Minister) স্বপ্নের প্রকল্প মিষ্টি হাব। পুনরায় মিষ্টিহাব (misti hub) চালু করা নিয়ে শুক্রবার জেলাশাসকের কনফারেন্স রুমে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনের বৈঠক। ১৫ দিনের মধ্যে চালু করতে হবে মিষ্টিহাব। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে আশ্বাস সরকারি সমস্ত বাস শক্তিগড়ের বদলে উল্লাসের মিষ্টিহাবের সামনে দাড় করানোর চিন্তাভাবনা। আর এই চিন্তা ভাবনাকেই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বির্তক।
শক্তিগড়ে মিষ্টির হাব
বিজেপির কটাক্ষ করের টাকায় পরিকল্পনাহীন প্রকল্প। শক্তিগড়কে নষ্ট করার জন্য এখানে মিষ্টি হাব করা হয়েছে। বর্তমানে জোর করে দোকান খোলানোর চেষ্টা হচ্ছে। এমনকী শক্তিগড়ের বদলে এখানে বাস দাড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে। ফলে শক্তিগড়ের ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়বে। বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমুলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি প্রশাসন সমস্ত কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদের বিজেপির কাছে শিখতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত
বুধবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলাশাসককে নির্দেশের পরই ফের মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বর্ধমানের মিষ্টি হাব খোলার তোড়জোড় শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। বারবার মিষ্টি হাবকে চালু করা এবং কিছুদিন পরই তা ফের খদ্দেরের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া আটকাতে শুক্রবার নেওয়া হল একাধিক ব্যবস্থাও। সরকারি ও বেসরকারী বাস না দাড়ানোর জন্যই মিষ্টিহাবের দোকানগুলি বন্ধ হয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে খদ্দের সমস্যা মেটাতে উত্তর ও দক্ষিন বঙ্গ পরিবহন সংস্থার সমস্ত বাসকে মিষ্টিহাবে স্টপেজ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।পাশাপাশি বেসরকারী বাসগুলিকেও স্টপেজ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হবে বলে জেলা প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানান, ''মিষ্টি হাবকে চালু করার জন্য এদিন সমস্ত দোকানদারকে ১৫দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তা চালু করতে না পারলে প্রশাসন তাদের কাছ থেকে ঘর নিয়ে নেবে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারী বাসকে কলকাতা ছাড়ার পর মিষ্টি হাবেই প্রথম স্টপেজ দেবার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বেসরকারী বাসগুলিকেও যাতে দাঁড় করানো যায় তারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।''
প্রশাসন সূত্রে জানা যায় দ্বিতীয় দফায় সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্য়াংচা প্রভৃতি মিষ্টির প্যাকেজিং-এর বিষয়টি ভাবা হবে। এই বিষয়ে বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক জানিয়েছেন, জেলা প্রশাানের তরফে সরকারি বাস দাড় করানোর জন্য চিঠি করা হচ্ছে। বাস না দাড়ানোয় সমস্যা হচ্ছিল।চালু করার জন্য যা যা দরকার করা হবে। সীতাভোগ মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রমোদ সিং জানিয়েছেন, প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে তাঁরা আশা করছেন মিষ্টি হাব খদ্দেরের অভাবে আর বন্ধ হবে না। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল আসানসোল থেকে মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমানের ২নং জাতীয় সড়কের বাম এলাকায় উদ্বোধন করেন তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প মিষ্টি হাব। কয়েকদিন চলার পরই তা মুখ থুবড়ে পড়ে খদ্দেরের অভাবে। এরপরও বার কতক চেষ্টা করা হয় মিষ্টি হাবকে চালু করার। কিন্তু মিষ্টি হাবের অবস্থানগত সমস্যার জন্য তাও সফল হয়নি। কিন্তু মিষ্টি হাবের জন্য যদি সরকারী বাস শক্তিগড়ে না দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে শক্তিগড়ের মিষ্টি ব্যবসার কি ভবিষ্যত হবে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।