কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: পুলিশের নির্দেশ উড়িয়ে আজ ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে প্রতীকী ধর্নায় বসল এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পুলিশির উপস্থিতিতেই এক ঘণ্টা প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ করলেন তাঁরা।
পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভে বসল এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন। জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবার সূচনা। জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার কলকাতায় হাজির হওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। মাতৃবিয়োগের কারণে প্রধানমন্ত্রীর সেই সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছে ঠিকই। কিন্তু শহর জুড়ে ভিভিআইপি মুভমেন্ট বহাল।
অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও শহরে হাজির। গতকালের যোগী আদিত্যনাথ ও হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছনোর ছবি অথবা তাঁদের আজ গঙ্গা পরিষদে বৈঠকের ছবি। এই আবহে বৃহস্পতিবার ময়দান থানার তরফে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের শনিবারের জন্য সমস্ত ধর্না স্থগিত রাখার কথা বলা হয়।
ইমেল মারফত পুলিশ জানায়, আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থেই এই নির্দেশ। অধিকাংশ মঞ্চ পুলিশ-প্রশাসনের সেই নির্দেশ মেনে নিলেও অবস্থান বিক্ষোভে অনড় থাকেন কিছু চাকরি প্রার্থী।
গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এদিন কোনও অবস্থান বিক্ষোভ না হলেও, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মাতঙ্গিনী মূর্তির পাদদেশের ধর্নাস্থলে উপস্থিত হন। ধর্নাস্থলেই রাখা ছিল পুলিশের গাড়ি। আন্দোলনকারীরা পৌঁছতেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়ে দেয়, ইমেল করে যা জানানোর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে তাঁদের কোনও সিদ্ধান্ত নেই। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট জায়গাতেই ধর্নায় অংশ নেয় গ্রুপ সি ও গ্রু ডি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।
পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতীকী ধর্না চলে এক ঘণ্টা। বর্ষশেষে উৎসবের আমেজে শহর> এখনও ঘুচল না চাকরিপ্রার্থীদের যন্ত্রণা। প্রতীকী ধর্নায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীরা। বিরোধীদের আক্রমণের জবাব তৃণমূলের।
গ্রুপ ডি-তে OMR শিট বিকৃতি মামলায়, ২২ ডিসেম্বর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর কাছে, বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ১ হাজার ৬৯৪ জনের তালিকা জমা দেয় মধ্য়শিক্ষা পর্ষদ।
তারপরই বেআইনি শিক্ষকদের পাশাপাশি, প্রায় সতেরোশো শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিলের জল্পনা জোরদার হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অবৈধ শিক্ষাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রশাসনিক প্রক্রিয়াও সারা।
এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ-আন্দোলনে একদিনের জন্যও যে তাঁরা রাশ আলগা করতে চাইছেন না, চাকরিপ্রার্থীদের অনড় মনোভাবে তা স্পষ্ট।