অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর (Medinipur) শহরে প্রচার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party)। সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত শহরজুড়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ। রীতিমতো বিজেপির (BJP) কায়দায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পর মেদিনীপুর শহরে আত্মপ্রকাশ করল কেজরিওয়ালের পার্টি।                       

  


কীভাবে চলছে এই অভিযান? 


সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে বিশেষ নাম্বার দিয়ে মিস কলের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার শুরু করে দিলো আপ এর সদস্যরা। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত মেদিনীপুর শহর জুড়ে চলেছে এই পোস্টারিং। দিল্লির পড়ে পাঞ্জাবে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করে এই রাজ্যে নিজেদের দলের বিস্তার করার কাজ শুরু করেছিল কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দাসপুরে কয়েকদিন আগে বেশ কিছুটা পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তবে সেভাবে দলের পেছনে থাকা নেতাদের সামনে দেখা যায়নি। এবার মেদিনীপুর শহরে প্রকাশ্যে ব্যাপক আকারে পোস্টারিং করতে দেখা গেল সোমবার সন্ধ্যে থেকে।


আরও পড়ুন, জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা, বুধে বৈঠক ডাকলেন মমতা


জানা যায়, মেদিনীপুর শহর জুড়ে একদল ব্যক্তি এই পোস্টারিং করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই সংগঠনের যোগদান করতে মিসকল দিন। এরপর বিশেষ একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টারে। কেজরিওয়ালের ছবি দেওয়া ওই বড় বড় পোস্টার মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


আপ-এর জেলা সভাপতির মত


এই কাণ্ডের পেছনে থাকা আপ আম আদমি পার্টির মেদিনীপুর শহর সভাপতি অলোক কুমার রায় বলেন, "এই দল দিল্লিও পাঞ্জাবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। আমরা এই দলের শাখা-প্রশাখা ছড়াতে মেদিনীপুর শহরেও আত্মপ্রকাশ করেছি। সবেমাত্র পা রাখা হলো। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে এই অভিযান আমাদের। লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার।" 


এ বিষয়ে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন-বিজেপির কায়দায় মাঠে নামলেও কোন লাভ হবে না এখানে। এর আগেও এই দল একবার চেষ্টা করেছিল। বাংলার মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন। দিল্লির পরে পাঞ্জাবের মানুষ এই দলকে ভোট দিয়ে পরিণতি ভুগছে। ফলে এই রাজ্যে আম আদমি পার্টির কোনো সুফল পাবে না আমরা নিশ্চিত।


এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, "গণতান্ত্রিক পরিবেশে যে কেউ নিজস্ব রাজনৈতিক দল করতেই পারেন। কিন্তু বাংলাতে মানুষের মন জয় করে তবে স্থান দখল করা যায়। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন। আম আদমি পার্টির সেই লক্ষ্য কখনই সম্ভব হবে না পূরণ করা।"