করুণাময় সিংহ, মালদা: বিজেপিকে নরখাদক বলে সম্বোধন করে, দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি। হরিশ্চন্দ্রপুরে এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। প্রতিবাদ সভা থেকে একের পর এক ক্ষুরধার ভাষা প্রয়োগ করে আক্রমণ শানান তিনি। 


আব্দুর রহিম বক্সী মালদা জেলার তৃণমুল সভাপতিও। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি নেতাদের বেনজির আক্রমণ করেন। গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে জুতার মালা পরানোর নিদান, আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ভাষণ দিয়ে যান তিনি। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'জেনে রাখো, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তোমাদের ওই দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামী দিনে নরখাদকের প্রত্যেকটা দাঁত ভেঙে দেব আমরা।'  


 সারা রাজ্যেই তৃণমূল নেতারা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন। মালদাতেও একশো দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে বাইক র‍্যালি ও পথসভার আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানেই মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদকে নিশানা করেন মালতিপুরের বিধায়ক ও তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। 


বিজেপি সাংসদ এলাকায় এলে ব্যারিকেড তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি। বললেন, গ্রামে ঢুকতে বারণ করুন এবং গ্রামে ঢুকতে দেবেন না। তিনি আরও বলেন, ' আমরা দেখছি লোকসভা ভোটে এখানকার সাংসদ নতুন করে নেমে গেছেন রাস্তায়। গ্রামে গ্রামে ফুলের মালা গলায় পরছেন। কিছু মানুষকে আগে থেকেই টাকা দিয়ে দিচ্ছেন, বলছেন, তোরা ফুলের মালা তৈরি করে রাখিস আমি যখন গ্রামে ঢুকবো তখন পরিয়ে দিবি। '  


প্রতিক্রিয়ায়  মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, 'মানুষ ওদেরকেই ব্যারিকেড করছে। আজকে তাঁর নিজের বিধানসভা এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। কালকে মালতিপুর হয়ে চাঁচল গেলাম। ওঁর বিধানসভা এলাকা। কোথায় লোক আটকাচ্ছে?...আমাকে আটকাচ্ছে না, ওঁকে আটকাবে'  


কখনও বিজেপি সাংসদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি, তো কখনও আবার বঙ্গ বিজেপিকে লাঠিপেটা করে রাজ্যছাড়া করার, এর আগেও একাধিকবার হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর গলায়। এবার লোকসভা ভোটের আগে নতুন বিতর্কে জড়ালেন শাসক-বিধায়ক।  


আরও পড়ুন :


বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে SLP দায়ের করল রাজ্য, সোমবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে