Manik Bhattacharya : 'TET পাস করিয়ে বিপুল টাকা নিয়েছিলেন!' নতুন নিয়োগের খরচ প্রয়োজনে মানিকের কাছ থেকে, বিচারপতির নির্দেশ

এই ৩৬ হাজার শূন্য়পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য় যে টাকা লাগবে, তা চাইলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে নিতে পারে রাজ্য় সরকার। মন্তব্য বিচারপতির। 

Continues below advertisement


সৌভিক মজুমদার, কৃষ্ণেনদু অধিকারী ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : একদিনে ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন প্রাথমিক শিক্ষকের । চাকরি বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় ( Abhijit Gangopadhyay )  এও বললেন, মানিক ভট্টাচার্য ( Manik Bhattacharya ) ও তাঁর দুর্নীতির জন্য এই অবস্থা।

এই ৩৬ হাজার শূন্য়পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য় যে টাকা লাগবে, তা চাইলে মানিক ভট্টাচার্যর থেকে নিতে পারে রাজ্য় সরকার। মন্তব্য বিচারপতির। 

এই ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন চাকরিপ্রার্থী টেট দিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। তারপর তাঁদের নিয়োগ হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্য়ান পদে ছিলেন, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। যিনি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়ে, এখন জেলে বন্দি।

Continues below advertisement


তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি বিক্রির চাঞ্চল্য়কর অভিযোগ সামনে এসেছে! ইডি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালের টেট-এ ৩২৫ জনকে পাস করিয়ে দিতে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য! তাঁর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলেও দাবি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেট।

রাজ্য় সরকার চাইলে, সেই মানিক ভট্টাচার্যর থেকে টাকা নিয়ে, ৩৬ হাজার শূন্য়পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে পারে বলে শুক্রবার মন্তব্য় করল কলকাতা হাইকোর্ট। যে ২০১৪ সালের টেট নিয়ে এত বিতর্ক, সে বছরই নিয়োগ প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য় করেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। 

এবার ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীনের চাকরি বাতিল, এবং সেই পদে পুনর্নিয়োগের নজিরবিহীন নির্দেশেও জড়াল সেই মানিকের নাম! 

শুক্রবার একলপ্তে প্রাথমিকের ৩৬ হাজার প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির ২টো মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরে যাওয়ার পর এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনও নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে, টেটের ভিত্তিতে,  ২০১৬ সালে, প্রাথমিকে সাড়ে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। তার মধ্যে প্রশিক্ষণ নেই, এমন ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণ থাকায়, প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকল। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে বলেন, আপাতত, এই ৩৬ হাজার জনের চাকরি ৪ মাস থাকবে। তাঁরা যে স্কুলে পড়াচ্ছিলেন সেখানেই পড়াতে পারবেন। যুক্ত থাকতে পারবেন সকুলের পঠন-পাঠনের সঙ্গেও। তবে, এই চার মাস তাঁরা পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন পাবেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এই ৩৬ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। 

----------------------

কর্নাটক বিধানসভার ফলাফল জানতে চোখ রাখুন - 

ABP News LIVE
https://www.youtube.com/live/nyd-xznCpJc?feature=share

ABP Ganga LIVE
https://www.youtube.com/live/zUlYQa2v6-k?feature=share

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola