কলকাতা: 'পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?' নবম-দশমের একটি মামলা চলাকালীন মন্তব্য বিচারপতির । ১৮৪জনকে 'অবৈধ' নিয়োগ, সিরিয়াল নম্বর ধরে রিপোর্ট দিল কমিশন। সুপারিশ কেন বেআইনি? চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ৯জনের মামলা। 'যাদের টপকে ৯জনকে সুপারিশ, তারা কত নম্বর পেয়েছেন?' ৯জনের ওএমআর শিট খতিয়ে দেখতে কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের।


হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) কড়া নির্দেশের পর চলতি মাসেই অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। যাঁরা বেআইনিভাবে যোগ্যদের টপকে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এসএসসির দেওয়া তালিকার ওপরেও লেখা হয়েছে এই তালিকায় যে ১৮৩ জনের নাম রয়েছে, তাঁরা ভুল পথে চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন। সব বিষয়ের প্রার্থীই রয়েছেন তালিকায়। এর মধ্যে ইংরেজির প্রার্থী সবথেকে বেশি। সূত্রের খবর এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তার সিংহভাগই কোনও না কোনও স্কুলে পড়াচ্ছেন! অর্থাৎ এই অযোগ্যদের কাছ থেকেই স্কুলে শিক্ষা পাচ্ছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। নবম দশম নিয়োগে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মামলা ছিল এদিন। সেই মামলার শুনানি পর্বে পর্ষদের আইনজীবীর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'পর্ষদ কিছু করতে না পারলে, শিক্ষামন্ত্রীকে (Education Minister) ডেকে পাঠাতে হবে। আপনারা যদি নিয়োগ বাতিল করতে চান, তাহলে করুন, কোথায় বাধা?'    


তালিকায় কারা রয়েছেন? 


কমিশনের প্রকাশিত এই তালিকা অনুযায়ী, সংরক্ষিত তালিকাতেই (SC, OBC-A, OBC-B) অযোগ্য প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও জেনারেল ক্যাটেগরিও রয়েছে। বিষয়ভিত্তিক যদি তথ্য দেখা যায়, তাহলে বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, জীবনবিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান, অঙ্ক- এই বিষয়গুলিতে এই 'ভুয়ো নিয়োগ' হয়েছে। যারা র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কেবল নাম নয়, অ্যাপ্লিকেশন আইডি, রোল নম্বর, কোন বিষয়ে পেয়েছেন, কোন ক্যাটেগরির সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।                  


 আরও পড়ুন:  Abhijit Ganguly: 'কোন জাদুকরের ছোঁয়ায় ওএমআর শিটে নম্বর বিকৃতি?' প্রশ্ন বিচারপতির