বিটন চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ দাস: তৃণমূলকে (TMC) উৎখাতের ডাক দিয়ে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। জবাবে কড়া ভাষায় সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুই হেভিওয়েটের বাগযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। দিলীপ ঘোষের কথায়, 'ওর যদি দম থাকে আমার সামনে এসে দাঁড়াক। যদি মাটিতে ঘষে না দিই তাহলে বলবেন'।

পাল্টা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ে মন্তব্য, 'দম থাকলে বলুন, কোথায় আসতে হবে। ঘষে দেখান। ক্ষমতা থাকলে জায়গা ঠিক করবেন, একা পৌঁছব। পঞ্চায়েত ভোটের যুদ্ধ শুরুর আগেই কথার লড়াইয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। একদিকে দিলীপ ঘোষের চ্যালেঞ্জ, পাল্টা হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাগযুদ্ধ চরমে : সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের যাত্রাপথে কুড়মিদের বিক্ষোভ-হামলা ঘিরে দুই নেতার বাগযুদ্ধ চরমে ওঠে!  সেই আবহেই এবার তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়ে অভিষেকের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। জবাবে কড়া ভাষায় সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, 'যদি দম থাকে আমার সামনে এসে দাঁড়াক। যদি মাটিতে ঘষে না দিই তাহলে বলবেন। মেদিনীপুরের লোক ঘুষ, কাটমানি খায় না। মেদিনীপুরের লোকেরা ইংরেজ, মুঘল-পাঠানদের বিরুদ্ধে লড়েছে। এবার তৃণমূলের পালা'।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় পাল্টা জবাবে বলেছেন, 'দিল্লির পোষা কুকুর হওয়া থেকে বাংলায় বাঘের মতো থাকা ভাল। আপনারা তো মানুষের পাশে থাকেন না। এরপর দুই পরগনায় যাব। আপনি বলুন কোথায় ডাকতে চান, কোথায় ঘষতে চান। ক্ষমতা থাকলে আপনার নেতাদের ঘষুন। যারা জনতার টাকা আটকে রেখেছে। কে কাকে ঘষে বাংলার মানুষ দেখাবে'। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাগযুদ্ধে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। 

কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গ: বুধবার সকালে নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাকুর পরে কে?কাকু হল। জেঠু হল। এবার হয়ত পিসির সময় আসছে। ভাইপোও আছে। ক্লু খোঁজা হচ্ছিল। কান টানলে মাথা আসে। কান টানাটানি শেষ। এবার হয়তো মাথা আসবে। 

বাইরন বৃত্যান্ত: বাইরন বৃত্যান্তেও মুখ খুলেছেন দিলীপ। এদিন তিনি বলেন, আমি ওকে চিনি। ও একসময় বিজেপি করতে চেয়েছিল। আমি বারন করেছিলাম। বলেছিলাম, তুমি ব্যবসায়ী বাড়ির ছেলে। বিজেপি করলে তোমার ব্যবসা করতে অসুবিধা হবে। তুমি যেহেতু সংখ্যালঘু, তোমাকে স্বীকৃতি দেবে না। কয়েক বছর আগের কথা। কংগ্রেস ওকে পেতে প্রচুর টাকা খরচ করেছে। ও রাজনীতির লোক নয়। তাকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে একটা শিক্ষা দিয়েছে। কংগ্রেস সিপিএমের কিছুই ছিল না। এখনও নেই। ল্যাংটার নেই বাটপাড়ের ভয়। কিন্তু সংখ্যালঘু সমাজ তৃণমূলকে যে শিক্ষা দিতে চাইছিল, তারাও এখন ধোঁকা খেয়ে গেলেন। 

কুনালের ট্যুইট: এ নিয়েও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির বক্তব্য, তৃণমূল ২ থেকে ৩ টে গোল খেয়েছে। বায়রন ভোটে দাঁড়ানোর আগেই তার নামে একের পর এক কেস দিয়েছিল। তাকে কিছুটা বাধ্য করা হয়েছিল। যারা বিচারপতি গাঙ্গুলীর এজলাস থেকে মামলা সরে যাওয়ায় ডিজে বাজিয়ে পিকনিক করে, তারাই বায়রনকে জিতিয়ে কংগ্রেস ও সিপিএম এর মধ্যে ঠিক তেমনই আনন্দ ছিল। দুটোই জলাঞ্জলি গেছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে চটিয়ে কেউ ব্যবসা করে খেতে পারবে না। বায়রন ব্যবসায়ী। কৃষ্ণ কল্যাণী, অর্জুন সিং, সবাইকেই তাই আমরা এভাবে সারেন্ডার করতে দেখেছি।