কলকাতা: রাজভবন (Rajbhawan) চত্বর থেকে ধর্না তুলল তৃণমূল (TMC)। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর ঘোষণা অভিষেকের। ১০০ দিনের কাজে বকেয়া টাকা আদায়ে এদিন সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সহ ৭জন ভুক্তভোগী পরিবার। ২০ মিনিটের বৈঠকের নির্যাসের বিষয়ে এদিন জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 


কী উঠে এল আলোচনায়? 


এদিন ধর্না মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, 'রাজ্যপালকে বলা হয়েছে, আপনারও বাধ্যবাধকতা আছে, প্রয়োজনে ৩ সপ্তাহ নিন। তারপরে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানান। বাংলার মানুষকে যদি ভাতে মারা হয়, তাহলে কেন্দ্রের কাছে জানুন। রাজ্যপাল সব শুনেছেন, ২ বছরের সুদ সহ টাকার দাবি জানিয়েছি।কী দুর্নীতি হয়েছে? দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে, একটাও এফআইআরও হয়নি। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন, কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। রাজ্যপালকে বলেছি আর আমাদের কাছে সৌজন্য আশা করবেন না।আপনি লিখিত কৈফিয়ত চান, কোন আইনে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে।'


ধর্না প্রত্যাহার: রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের ধর্না এদিন ৫ দিনে পড়েছে। বৈঠকের পর ধর্না প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন অভিষেক। তিনি জানান, 'রাজ্যপাল আমাকে কথা দিয়েছেন. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলব। বকেয়া টাকা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। আমাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল, আশাকরি বিহিত করবেন। আরও ২৪ ঘণ্টা ধর্না চালাতে চেয়েছিলাম, দলনেত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। পাল্টা সৌজন্য দেখানো উচিত বাংলারও, তাই কর্মসূচি প্রত্যাহার।'


আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি: ১০০দিনের কাজে টাকা বকেয়া থাকার অভিযোগ রাজ্যপালের কাছে এদিন হাজির হন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। বিকেল ৪টেয় তৃণমূল কংগ্রেসকে সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদাররা। যদিও এদিন ধর্না প্রত্যাহারের পাশাপাশি আন্দোলনের পরবর্তী সুরও বেঁধে দিয়েছে তৃণমূল। ধর্না প্রত্যাহার করেও ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রকে 'ডেডলাইন' অভিষেকের।  তিনি বলেন, 'রাজ্যপালকে ২ সপ্তাহকে সময় দিয়েছি। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রকে সময়।'  দাবি পূরণ না হলে ফের ১ নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: 'বাড়িতে থাকতে চান, না অন্য কোথাও পাঠাব?' হুঁশিয়ারি বিচারপতির