কলকাতা: এবার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের (Jogesh Chandra Chaudhuri Law College) বিতর্কিত পাঁচ প্রাক্তন ছাত্রকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানি পর্বে বিচারপতি বলেন, 'মস্তানি করবেন না, দিনকাল খুব খারাপ। আগামী ৬ মাস কলেজের ত্রিসীমানায় আসবেন না। বাড়িতে থাকতে চান, না অন্য কোথাও পাঠাব?'


পাঁচ প্রাক্তন ছাত্রকে হুঁশিয়ারি: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে অধ্যক্ষ ও এক অধ্য়াপককে অপসারণের পরএবার কলেজের ৫ প্রাক্তন ছাত্রকে হুঁশিয়ার দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। মামলায় বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই ৫ প্রাক্তন ছাত্র যেন আগামী ৬ মাস কলেজের আশেপাশে না আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে দাদাগিরির অভিযোগ ওঠে ওই ৫ প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে। সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং বিতর্কিত অধ্যাপকদের মদতে ছাত্রদের হুমকি ও মারধর অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিয়োগ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্য়াপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছেন। এই দুষ্কৃতীরা কলেজকে নিজেদের আখড়ায় পরিণত করেছে। এই প্রেক্ষিতে সোমবারের মধ্য়ে ওই ছাত্রদের এজলাসে হাজির করতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেই মতো এদিন তাঁদের আদালতে হাজির করানো হয়।


UGC-র নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় গত সপ্তাহে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা সহ আরও এক অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডুকে অপসারমের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর অফিসে তালা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করে আদালত। রাতে আদালতের নির্দেশমতো কলেজের অধ্যক্ষের বন্ধ ঘরের তালা গালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন সুনন্দা। 


গত সপ্তাহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “UGC-র নির্ধারিত যোগ্যতা সুনন্দা গোয়েঙ্কা ও অচিনা কুণ্ডু নেই। সেই কারণেই অপসারণের নির্দেশ।তবে তাঁরা যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাঁদের পুনর্বহাল করা হবে।’’ আইনজীবী অর্ক কুমার নাগকে স্পেশাল অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করেছিল আদালত। ওই দিনই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই কলেজের অধ্যক্ষর অফিস তালাবন্ধ করতে তাঁকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশের পরই, রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ কলেজে পৌঁছন স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ। সঙ্গে ছিলেন চারু মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। কলেজের মেন গেট ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করে গেট খোলানো হয়। এরপর, আদালতের নির্দেশমতো কলেজের অধ্যক্ষের বন্ধ ঘরের তালা গালা দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়।


যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্য়াপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। এই দুষ্কৃতীরা কলেজকে নিজেদের আখড়ায় পরিণত করেছে। এই মামলায়, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়। ৯ ই অক্টোবরের মধ্যে এই দুষ্কৃতীদের হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। 


আরও পড়ুন: Dengue Death: ফের মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু