কলকাতা : কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠির প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। মামলায় যুক্ত করার জন্যেও আদালতে (Calcutta High Court) পৃথক আবেদন অভিষেকের তরফে। 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য থাকলে আবেদন করতে পারেন', এই মামলায় বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা।


প্রসঙ্গত, 'তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্যা কোথায়?' তদন্তকারী সংস্থা যে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, অসুবিধা কোথায়? প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। 


প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) কাছ থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ২টি মামলা গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার বেঞ্চে । সৌমেন নন্দী, রমেশ মাহাতোর মামলা গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে। যে মামলার শুনানিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠতে তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়ে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।


প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আদালতে ওঠা ও তাঁকে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরা করার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বার্তা নিয়ে দিনকয়েক আগেই বিস্তর টানাপোড়েন চলেছে। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India) পর্যন্তও। যারপরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলায় বিচারের ভার ন্যস্ত করহে বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে।


আরও পড়ুন- ৫ বছরের ডিগ্রির বদলে ৩ বছরের ডিপ্লোমায় ডাক্তার ! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া চিকিৎসক মহলে


গত ১৩ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় মন্তব্য় করেছিলেন, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং কুন্তল ঘোষকে খুব দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত CBI, ED-র। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রথমে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। পরে মামলাগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।


                                                    


আরও পড়ুন: ফলাহারের সাতকাহন, কখন ফল খাবেন? কীভাবে ফল খাবেন?