প্রকাশ সিনহা, আশাবুল হোসেন, কলকাতা :  ইডি-র তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই। আগেও তিনি দাবি করেছেন, ইডির তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তিনি। পূর্বেও ২ বার ইডি আধিকারিকদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন অভিষেক। 

কয়লা পাচার মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আজ সকালেই ৫ ইডি আধিকারিক দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন। জানা গিয়েছে, প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় ১১ টার পরেই। 

অন্যদিকে এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে তোপ দেগে ট্যুইট করেছে তৃণমূল। একটি ট্যুইটে লেখা হয়েছে, ‘যখনই বিজেপি শঙ্কিত হয়ে পড়ে, এই তোতাপাখিদের ছেড়ে দেয়’ ! 

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিজেপি যখনই রাজনৈতিক ভাবে পেরে ওঠে না, তখনই সিবিআই, ইডিকে ব্যবহার করে। কিন্তু ‘বিজেপির পুতুল দিয়ে ভয় দেখানোর ছক কাজ করবে না, লড়াই জারি থাকছে’ । তৃণমূলের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দলের সেনাপতি। তাঁকে সামনে রেখে এগোচ্ছে দল। অনুপ্রাণিত হচ্ছে দলের যুবারা। তাই তাঁকে সফট টার্গেট করেছে বিজেপি। এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে তাঁকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। বিজেপির হয়ত মনে হচ্ছে, এভাবে তৃণমূল-সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোবলকে টলানো যাবে, এমনটাই মনে করছে তৃণমূল। তারাও মাথানত করবে না বলে , বলা হচ্ছে দলের তরফে। 


সম্প্রতি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, তৃণমূল সরকার ডিসেম্বর মাসেই পড়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালে একসঙ্গে লোকসভা  ও বিধানসভা ভোট হবে। প্রায় একইরকম সুর বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছে দিলীপ ঘোষের গলায়। 


২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে, তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এবছরের ১৪ জুন ফের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২৩ জুন আবার ইডি’র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন রুজিরা। সন্তানকে কোলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি।  এবার কয়লাকাণ্ডে অভিষেক এবং তাঁর শ্যালিকাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকল ইডি।