বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : 'শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে দলের সব সাংসদকে।' এমনই বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক ছিল তাঁর। সেই বৈঠকে একাধিক নির্দেশ দেন তিনি।

Continues below advertisement

বিস্তারিত...

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কিছু ভাল কাজের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এর সঙ্গে সঙ্গে কিছু সাংসদ শৃঙ্খলা মানছেন না বলেও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোনও সাংসদকে যদি কোনও মন্ত্রীর অ্যাপয়ন্টমেন্ট নিতে হয়, সেক্ষেত্রে তাঁকে আগে দল থেকে অনুমোদন নিতে হবে। দলের অনুমতি নেওয়ার পর যাঁরা লোকসভার নেতৃত্ব রয়েছেন, তাঁদের অনুমতি নেওয়ার পরই যেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়। বিজেপি বা কোনও দলের নেতা যদি আমন্ত্রণ করেন, সেক্ষেত্রে পার্টিকে জানিয়ে যেন তাঁরা বাইরে যান। এই নির্দেশিকা দিয়েছেন অভিষেক। এর সঙ্গে সঙ্গে কিছুদিন আগে দেখা যায়, কীর্তি আজাদ লোকসভায় সিগারেট খাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। অমিত মালব্য সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ অভিষেক বলেন, আপনারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়ে এসেছেন। একটা সংসদ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন। এরকম কোনও কাজ করবেন না, যেটাতে মাথা হেঁট হয়। মর্যাদা রাখবেন। সেই বার্তাই দিয়েছেন অভিষেক। তার সঙ্গে সঙ্গে সাংসদরা ভাল কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন অভিষেক। বলেন, কাজ করার পর দলীয় সাংসদদের সঙ্গে মিটিং করার চেষ্টা করুন। অন্য সাংসদদের কাছে যখন যাবেন, দল থেকে অনুমতি নেবেন। প্রসঙ্গত, এর আগে 'রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় নেতৃত্বকে না জানিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় নিয়েছিলেন। সৌগত রায় শরদ পাওয়ারের জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। মহুয়া মৈত্র জিন্দালের মেয়ের বিয়ের পার্টিতে গিয়েছিলেন। লোকসভায় ই-সিগারেট খাওয়ার জন্য কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠেছে।'

Continues below advertisement

যাবতীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি বলেন, "আমি প্রত্যেক সাংসদকে কথা বলব বলে ডেকেছিলাম। কিছু গাইডলাইন ছিল...। সবকিছু তো মিডিয়ার সামনে বলতে পারি না। তবে, আমি যেকটা কথা বলেছি...সব সাংসদ সেখানে ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস ইউনাইটেড। আজও একশো দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।"

এনিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমার কাছে যা খবর তাতে শতাব্দী রায় এবং তাঁর সঙ্গে আর একজন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, এঁরা একদিকে হয়ে গিয়েছেন। বাকি মহিলা সাংসদরা আর একদিকে হয়ে গিয়েছেন। এখন এই দুই মহিলা টিমের মধ্যে চুলোচুলি চলছে। চলতে দিন । পার্টিটাই তা চুলোচুলির পার্টি।"