কলকাতা: পদ ফিরে পেলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থাকলেন অভিষেকই। অভিষেককে রেখেই জাতীয় স্তরে তৃণমূলের একাধিক কমিটি।  তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতি যশবন্ত সিন্‍‍হা, সুব্রত বক্সী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম, কোষাধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাস। নীতি নির্ধারণ কমিটিতে যশবন্ত সিন্‍‍হা, অমিত মিত্র। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হল সুখেন্দুশেখর রায়কে।


রাজ্যসভার অধিবেশনে মুখপাত্র হলেন সুখেন্দু, লোকসভায় কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র করা হল সুখেন্দু, কাকলী, মহুয়া মিত্র। ডেপুটি মেয়র গসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক। বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি অনিতা মণ্ডল। চন্দননগরের মেয়র হচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। আসানসোলের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি ওয়াসিমুল হক, অভিজিৎ ঘটক। 


কালীঘাটে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি বৈঠক শেষ। এ দিন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের আগে পরপর ৩টি আলাদা বৈঠক করেন মমতা। সূত্রের খবর, বৈঠক শুরুর কিছু আগে অভিষেকের সঙ্গে কথা বললেন মমতা। এর পরে অভিষেক, মলয় ঘটকের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে অভিষেক, ফিরহাদ, মলয়ের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলনেত্রী। আজই জাতীয় স্তরের পদাধিকারীদের নাম ঘোষণার সম্ভাবনা ছিলই। তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে আনা একাধিক রদবদলের জল্পনা ছিল।


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের (TMC) অন্দরে শুরু হয় 'গৃহসংঘাত'। কেউ সুর চড়িয়েছেন সমর্থনে। কেউ আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে জল্পনা বাড়িয়েছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। তৃণমূল নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে দল। তাঁকে শো-কজ করা হচ্ছে। শো-কজের উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খবর মেলে তৃণমূল সূত্রে। 


এই ঘটনার পরই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "‘বলছে অভিষেক পদত্যাগ করবে, অভিষেকের পাপ কী ? আমার হৃদয়ে অভিষেক, নয়নে মমতা। এক ব্যক্তি এক পদ শুনেছি। এই নীতি সবাই মেনে চলছেন। আমি অভিষেক অনুগামী নই। অভিষেক আমার ছোট ভাইয়ের মতো, কোলে নিয়ে ঘুরতাম। মমতা যদি বলেন এক ব্যক্তি সব পদ, তাই মেনে নেব’।   


এরপর তৃণমূলের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্বর বৈঠক কালীঘাটে (Kalighat)। এই বৈঠক ডাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুব্রত বক্সী। 


দলে যে পরিস্থিতি চলছে তা নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর মেলে। নানা ইস্যুতে ঘাসফুল শিবিরে মতবিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বলা হচ্ছে এই সংঘাত তৃণমূলের ভাবমূর্তির পক্ষে ক্ষতিকর। মনে করা হচ্ছে, এই বিষয়গুলি নিয়ে কাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে আলোচনা করেন।