সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ,কলকাতা :  রবিবার '12.30 AM' - এ  অভিষেক-শ্যালিকাকে ( Abhishek Banerjee's sister-in-law ) তলব ইডির ! । অর্থাৎ রবিবার মাঝরাতের কিছু পরে ! অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর, তাঁর আইনজীবীকে সঙ্গী করে যখন সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন, তখন চারিদিন কার্যত ভোঁ - ভাঁ। তারই মধ্যে তাঁরা এসক্যালেটর দিয়ে উপরে যান। সেখানে গিয়ে মধ্য রাতে হাতে নোটিস নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা।


শনিবার ব্যাঙ্ককে যেতে বাধা 
এর আগে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে ( Menaka Gambhir ) ব্যাঙ্কক যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। ইডির লুকআউট সার্কুলার থাকায় তাঁকে ফিরতে হয় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। আগামী সপ্তাহে তলব করে কলকাতা বিমানবন্দরেই নোটিস ধরায়  ইডি  ( Enforcement Directorate )। 

রবিবার রাতের টানটান নাটক
এই ঘটনার পর ফের রবিবার আইনজীবীকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। মেনকা গম্ভীরের আইনজীবী জানিয়েছেন, ১২ সেপ্টেম্বর ‘টুয়েলভ থার্টি AM’-এ তাঁর মক্কেল মেনকা গম্ভীরকে কয়লাকাণ্ডে ( coal smuggling case ) তলব করেছিল ইডি। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই তাঁরা পৌঁছে যান সিজিওয়। কিন্তু, এসে দেখেন, সিজিওয় ঢোকার মেন গেট তালাবন্ধ।


আইনি পথে হাঁটবেন মেনকা?
কর্তব্যরত এক জওয়ানকে তাঁরা বলেন, আমাদের ডেকেছে, তাই এসেছি। তারপর জওয়ান দরজা খুলে দিতেই তাঁরা হেঁটে ভিতরে ঢোকেন। লিফটে করে পৌঁছে যান ইডির অফিসে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর নীচে নেমে আসেন। মেনকা গম্ভীর ও তাঁর আইনজীবীর দাবি, ইডি দফতরে গেলেও কারও কোনও সাড়া পাননি, অফিস বন্ধ ছিল। এবার কি তবে পাল্টা আইনি পথে হাঁটবেন মেনকা গম্ভীর ? সেদিকেই নজর সকলের। 

কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের নামে এর আগে লুকআউট সার্কুলার জারি করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডি। তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল দেশের সব বিমানবন্দরে। শনিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোন মেনকা গম্ভীর। বিমানবন্দর সূত্রে খবর,মেনকা অভিবাসন দফতরের কাউন্টারে যাওয়ার পরই সেখানকার অফিসাররা তাঁকে ইডির লুকআউট সার্কুলারের কথা জানান।  এরপর তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় অভিবাসন দফতরের একটি ঘরে। 


অভিবাসন দফতর বিষয়টি জানায় দিল্লির ইডি দফতরে। তারপর কলকাতার ইডি দফতরের এক অফিসার পৌঁছে যান বিমানবন্দরে। আগামী সপ্তাহে কলকাতার ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডির নোটিস ধরানো হয় মেনকাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।