কলকাতা: ৪ ঘণ্টা পরে ইডি দফতর থেকে বেরোলেন অভিষেক-পত্নীকে রুজিরা। সিজিও কমপ্লেক্সে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে। ৩ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করে বয়ান রেকর্ড করে ইডি। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ। কয়লা পাচার মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হাজিরা দিতে বেলা ১২.০৫ নাগাদ রওনা হন রুজিরা। বেলা ১২.৩১ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকে অভিষেক-পত্নীর গাড়ি।
কয়লা পাচার মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলা ১২টা ৫০-এ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির অফিস থেকে ইডি-র দুই আধিকারিক এসেছিলেন। দলে ছিলেন কয়লা পাচার মামলার তদন্তকারী অফিসার ও ইডি-র ডেপুটি ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমার এবং আরও এক আধিকারিক। সূত্রের খবর, অভিষেক-পত্নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়। সূত্রের খবর, এদিন ইডি দফতরে যাওয়ার আগে বাড়িতে আইনি পরামর্শ নেন রুজিরা।
গত সোমবার দুবাই যাওয়ার পথে, কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় রুজিরাকে। সূত্রের খবর, অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা তাঁকে জানান, ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি। আজ হাজিরা দিলে এই নিয়ে দু’বার ইডি-র মুখোমুখি হবেন রুজিরা।
বাইশের জুনের পর তেইশে জুন! ১ বছরের মাথায় দ্বিতীয়বার! কয়লা পাচার মামলায় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল ED. গত সোমবার, কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্ত্রীকে। দুবাই যাওয়ার পথে বিমানবন্দরে তাঁকে আটকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরেই নোটিস ধরায় ইডি।
রুজিরাকে তলব নিয়ে একযোগে সুর চড়ান মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর সোমবার অভিষেক-পত্নী, ক্লিয়ারেন্সের জন্য অভিবাসন দফতরে গেলে বলা হয়, কয়লাকাণ্ডে ED-র মামলায় তাঁর নামে লুকআউট সার্কুলার রয়েছে। তাই তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও এজেন্সির তরফে কারও বিরুদ্ধে লুকআউট সার্কুলার থাকলে সেই ব্য়ক্তি দেশ ছাড়তে চাইলে অভিবাসন দফতরের তরফে সেই সংস্থাকে তা জানানো হয়। সেদিন সেই মতো অভিবাসন দফতরের তরফে রুজিরার বিষয়টি ইডি-কে জানানো হয়। এরপর, বৃহস্পতিবার ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন অভিষেকের স্ত্রী।
এর আগে,২০২১-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে, CBI তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ২০২২-এর ১৪ জুন,ফের শান্তিনিকেতনে গিয়ে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ৭ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তবে, কয়লা পাচার তদন্তে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশ কয়েকবার দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরার জন্য নোটিস দেওয়া হলেও, তিনি যাননি।
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, দুই সন্তানকে ফেলে দিল্লি যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব না। কলকাতার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও, ED বারবার দিল্লিতে তলব করায়,প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক ও রুজিরা কিন্তু আদালত তাঁদের সেই পিটিশন খারিজ করে দেয়।
দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক-রুজিরা। এই মামলায় ২০২২-এর ১৭ই মে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়,আপাতত কলকাতায় অভিষেক ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। জিজ্ঞাসাবাদের ২৪ ঘণ্টা আগে ED’কে নোটিস দিতেও নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর, ২৩ জুন, কয়লা পাচার মামলায় প্রথমবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন অভিষেকের স্ত্রী।শিশু সন্তানকে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। এবার ফের ইডির সামনে হাজির হলেন অভিষেক-পত্নী।