বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও অমিতাভ রথ, খড়গপুর: কেশপুরে (Keshpur) জনসভার আগে খড়গপুর (Kharagpur) গ্রামীণ ব্লকের মাতকাতপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। শুনলেন তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা। এখানে বহুদিন ধরে আছেন শতাধিক পরিবার। জায়গাটি সেচ দফতরের অন্তর্গত। তাই এঁরা জমির পাট্টা পান না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিষেকের কাছে। শোনামাত্র সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন তিনি। 


পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) কেশপুরে সভা করতে যাওয়ার পথে জনসংযোগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। খড়গপুরের মাতকাতপুরে গ্রামবাসীদের জমির পাট্টার সমস্যার কথা শুনে সেখান থেকেই ফোন করলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। দ্রুত সমস্যার সমাধানের জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। যদিও এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।


জেলায় গিয়ে জনসংযোগ। সভার আগে আচমকা গ্রামে পৌঁছে যাওয়া!বাসিন্দাদের কথা শুনে, সমস্যার চটজলদি সমাধানের চেষ্টা! পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ির পরে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরেও 
সেই ভূমিকায় দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে । 


শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভা করতে যাওয়ার পথে খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের, বড়কোলা পঞ্চায়েতের, মাতকাতপুরে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অভিষেক। গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে তাঁর কাছে পাট্টার দাবি জানাতে থাকেন। গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ শুনে, সেখান থেকেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) ফোন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসব দেখে, বিরোধীদের গলায় অবশ্য় কটাক্ষের সুর! সভার আগে গ্রামে অভিষেক সমস্যা শুনে মন্ত্রীকে ফোন। কটাক্ষ বিরোধীদের


কেশপুরে সভার শেষে মঞ্চ থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক । তখনও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানাতে দেখা যায় কয়েকজনকে। আরও নানা বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানান তৃণমূল কর্মীরা।


কেশপুরে অভিষেক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ চরমে। এই আবহেই আজ সেখানে দলীয় সমাবেশে যোগ দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মেদিনীপুর ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেশপুরে কোন্দল সামলাতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কোনও বার্তা দেন কি না, সেটাই দেখার। কেশপুরের সভা থেকে একযোগে সিপিএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দেন তিনি। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে সিপিএম ও বিজেপি।