কলকাতা: 'অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কাজ করল না কেন, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার।' ট্রেন দুর্ঘটনায় দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিলে অভিষেকের নিশানায় মোদি সরকার।                                


শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি অভিষেকের: এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মন্ত্রীরা রেলে চড়েন না, বিমান-কপ্টারে ওঠেন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, রেল মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যান্টি কলিশন ডিভাইসের কথা বলার তেরো-চোদ্দ বছর পরেও কেন তা চালু হল না? এত প্রাণের দাম কে দেবে?'' প্রশ্ন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “২০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তো ট্রেনে চড়েন না, প্লেনে চড়েন।বিজেপি নেতাদের বড় বড় গদি-এসি-গাড়ি লাগে।এই টাকা যদি সুরক্ষার কাজে লাগানো হত, তাহলে এই দিন দেখতে হত না। অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস কাজ করল না কেন, শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার।রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। ভোটের রাজনীতি করতে তড়িঘড়ি সব উদ্বোধন কেন?রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না।'করমণ্ডল বিপর্যয়ে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের।                   


ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। কী ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তিনটি ট্রেন, তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরা থেকে বের করা হচ্ছে দেহ। মৃত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ। গ্যাসকাটার দিয়ে ট্রেনের বগি কেটে চলছে উদ্ধারকাজ।


রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর পাশে দাঁড়িয়ে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন মমতা বলেন, "আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র (Anti Collison Device) তৈরি করেছিলাম। গোয়ায় গিয়ে সব ব্যবস্থা হয়েছিল। তার পর থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছিল। এটি এমন একটি যন্ত্র, যা ট্রেনে বসানো থাকলে, এক লাইনে যদি দু'টি ট্রেন এসে পড়ে, বা সামনে কিছু পড়ে থাকে, আপনা থেকেই থেমে যাবে ট্রেন। কিছু গড়বড় দেখলে সতর্কবার্তা যাবে।"


আরও পড়ুন: Skin Care Tips: জিমে গিয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি খেয়াল রাখুন ত্বকেরও, কোন কোন বিষয় নজরে রাখবেন?