কলকাতা: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন যে, আধুনিক সভ্যতার শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার বাইসাইকেল। তাতে তেল লাগেনা, কয়লা লাগেনা, মানুষটা বলতে গেলে নিজের পায়েই চলছে, কিন্তু গতি কত বেড়ে গেছে!                                                             

  


আজকের যুগে আমরা সাইকেল ছাড়া জীবন ভাবতেই পারি না। কিন্তু সাইকেলের বাংলা নাম জিজ্ঞেস করলেই হোঁচট খাবে অনেকেই।                                                        



ভারতের বা পৃথিবীর যেকোনো রাস্তায় চলতে গেলে অসংখ্য সাইকেল চোখে পড়বেই। সাইকেল চালানো শরীরের পক্ষেও খুবই ভালো। ১৯ শতক থেকে সাইকেল বাঙালি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সাইকেল আদতে ইংরাজি শব্দ। তাহলে সাইকেলের বাংলাটা ঠিক কী? সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, ৯৯ শতাংশ মানুষই বলতে পারেননি সঠিক উত্তর।


জার্মানির কার্ল ভন ড্যারন ১৮১৭ সালে জার্মানির ম্যানহেইম শহরে সাইকেল আবিষ্কার করেন। ১৮৮০ সালে সর্বপ্রথম দুই চাকা সমান পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়, চেন ও টায়ার সংযুক্ত করা হয়। 


ইদানিং ইলেক্ট্রনিক সাইকেল বাজারে এসেছে। এছাড়াও রেসিং সাইকেল, পাহাড়ে ওঠার মত আলাদা ধরনের সাইকেল পাওয়া যায়।


সাইকেল রেস রীতিমতো একটা স্পোর্টস হিসেবে গণ্য হয়। এই সাইকেলের বাংলা নাম হল ‘দ্বিচক্রযান’। ‘দ্বি’ কথার অর্থ হলো দুটি। অন্যদিকে ‘চক্র’ মানে চাকা। আর যান কথার অর্থ যে প্রত্যেকটি মানুষের জানা তা বলাই বাহুল্য। সেই কারণেই একসাথে সাইকেলকে বাংলায় বলা হয় দ্বিচক্রযান। 


খুব সহজ ও ছোট ভাষাতেই ব্যক্ত করা যায় দুটি চাকার এই বাহনটিকে। ‘দ্বি’ কথার অর্থ হল দুটি। অন্যদিকে ‘চক্র’ কথার মাধ্যমে চাকাকে বোঝানো হয়। আর যান শব্দের মানে তো প্রায় প্রত্যেকটি মানুষেরই জানা। তাই, সাইকেলকে বাংলায় বলা হয় দ্বিচক্রযান। ‘সাইকেল’ শব্দটির আসলে বাংলা ভাষার ক্ষেত্রে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তাই, পরিবেশ দূষণরোধকারী এই পরিবাহকটিকে আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করে থাকলেও অনেকেই হয়তো জানি না এর বাংলা প্রতিশব্দ।