পার্থপ্রতিম ঘোষ ও হিন্দোল দে, জয়নগর
: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের (Joynagar TMC Leader Update) ৭২ ঘণ্টা পর এফআইআরে নাম থাকা সিপিএম নেতাকে (Accused CPM Leader Arrest In Joynagar Incident) গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা আনিসুর লস্কর ফেরার ছিল। তার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই পাকড়াও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 


যা জানা গেল...
আনিসুর লস্কর-সহ এখনও পর্যন্ত গোটা ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটকের সংখ্যা ৪। পুলিশ সূত্রে খবর, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয় আনিসুরকে। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগে এর নামই প্রধানত শোনা গিয়েছিল। বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের খোঁজে গত কয়েকদিন ধরে নদিয়ার রানাঘাট, হরিণঘাটার মতো জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। আজ সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় আনিসুর লস্কর। আরও ৪ জনকে নদিয়ার রানাঘাট, হরিণঘাটা থেকে আটক করা হয়েছে। আপাতত তাদের বারুইপুর এসপি অফিসে রাখা হয়েছে বলে খবর। 


প্রেক্ষাপট...
গত সোমবার ভোরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিনকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের তরফে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাতে মূলত এই সিপিএমের নেতার কথা বলা হয়। আদতে দলুয়াখাকির বাসিন্দা আনিসুর। ওই ঘটনার পর, পাল্টা হামলার অভিযোগ ওঠে দলুয়াখাকিতে। আনিসুর-সহ ১৬ জন সিপিএম কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গোটা পর্ব ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু অভিযুক্ত সিপিএম নেতার খোঁজ মেলেনি। যদিও তার পরিবারের দাবি, পুলিশ যখন তার খোঁজ শুরু করে, তখন ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছিল আনিসুর। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। পুলিশের দাবি, আজ রানাঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের একাংশ জানাচ্ছেন, সইফুদ্দিনকে যারা খুন করতে এসেছিল তাদের এক জনকে সে দিন গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। তৃণমূল নেতাকে খুনে জড়িত সন্দেহে পিটিয়ে যাকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, তার নাম সাহাবুদ্দিন লস্কর। সইফুদ্দিনকে খুনের ঘটনায় এক অভিযুক্ত সাহারুল শেখকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে এখন পুলিশ হেফাজতে। এবার গ্রেফতার আনিসুর। কিন্তু দলুয়াখাকির ছবিটা এখনও বদলাল না কেন? বাস্তবে এখনও পুরুষশূন্য হয়ে রয়েছে দলুয়াখাকি গ্রাম। হালেই, ঘরছাড়া বাসিন্দাদের সঙ্গে দফায় দফায় বচসা বেধেছে পুলিশের। সিপিএমের কয়েকজন মহিলা সদস্য বাসিন্দাদের সঙ্গে গ্রামে ঢুকতে চাইলে, পুলিশ তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, শুধুমাত্র বাসিন্দারাই গ্রামে ঢুকতে পারবেন।বচসার পর শেষমেশ বিকেলে গ্রামে ফেরেন বাসিন্দারা। কিন্তু মাথার ওপর ছাদ কই? সবই জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে

আরও পড়ুন:‘মুখরক্ষার চেষ্টা’, ‘আরও আগে হলে...’, বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ, প্রতিক্রিয়া রাজনীতিকদের