হিন্দোল দে, আনন্দপুর: স্বাস্থ্য দফতরের (Swastha Bhawan) টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। অভিযুক্ত বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। ধৃতের বাড়ি কসবার রথতলায়। অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে একটি সংস্থার কাছ থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, টেন্ডার-প্রতারণাকাণ্ডে স্বাস্থ্য আধিকারিকের সই ও সরকারি স্ট্যাম্পও জাল করা হয়েছে । গতকাল রাতে পার্ক স্ট্রিট (Park street) এলাকায় হানা দিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। এর আগেও শেক্সপিয়ার সরণি থানায় ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।


ডেপুটি সুপারের নামে প্রতারণা: মাত্র ৬০ হাজার টাকায় মিলবে ওয়াশিং মেশিন, ডবল ডোর ফ্রিজ, খাট, টিভি-সহ আরও অনেক পুরনো আসবাবপত্র। খোদ ডেপুটি পুলিশ সুপারের নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapur) । যে ফাঁদে পা দিয়ে ১০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ।







মেদিনীপুর (West Midnapur)  শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি চন্দ্রশেখর তিওয়ারির অভিযোগ, জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার সব্যসাচী সেনগুপ্তর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে, কেউ তাঁকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, একজন CISF অফিসার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর পুরনো আসবাবপত্র বিক্রি করতে চান ।






তৃণমূল নেতা আগ্রহ প্রকাশ করায়, হোয়াটসঅ্যাপেও মেসেজ পাঠানো হয় তাঁকে । শেষমেশ ৫৫ হাজার টাকায় আসবাবপত্র কেনার চুক্তি হয় । এমনকী হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো, ব্যাঙ্ক আকাউন্টে ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়ে দেন তৃণমূল (TMC) নেতা । 


মেদিনীপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দ্রশেখর তিওয়ারির কথায়, ডেপুটি পুলিশ সুপারের অ্যাকাউন্ট দেখে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েও দিই। পরে বুঝতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি।