ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: মোবাইল ফোনের টাওয়ার (mobile phone tower) বসানোর টোপ দিয়ে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। তদন্তে নেমে সল্টলেকে (Salt Lake) ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Centre) হদিশ। পুলিশের জালে ৬ অভিযুক্ত (arrested)। বাজেয়াপ্ত একাধিক বৈদ্যুতিন যন্ত্রসহ (electronics) কয়েক হাজার টাকা।


টাওয়ার-টোপে ‘প্রতারণা’ 


কলকাতায় ফের বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস। মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। সল্টলেকের কল সেন্টারে হানা দিয়ে মূল অভিযুক্ত সহ গ্রেফতার ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


কীভাবে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল ধৃতরা? পুলিশ সূত্রে দাবি, ২৮ অগাস্ট প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন একবালপুরের বাসিন্দা নুর আলম নামে এক ব্যক্তি। তাঁর দাবি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসিয়ে মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করার টোপ দেয় অভিযুক্তরা। তারপর তাঁর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। 


পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্তর মোবাইল ফোনের লোকেশন (mobile phone location) ট্র্যাক করে শুরু হয় তদন্ত। সল্টলেকে হদিশ পাওয়া যায় অভিযুক্তদের ভুয়ো কল সেন্টারের। সেখানে হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় মনোজ গগৈ নামে মূল অভিযুক্তকে। মনোজকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় আরও ৫ জনকে। উদ্ধার করা হয় ১০০টি মোবাইল ফোন, ৩৩টি সিম কার্ড (Sim Card), ১২টি এটিএম কার্ড (ATM Card), ২টি ল্যাপটপ ও নগদ ৩৩ হাজার টাকা।


 



আরও পড়ুন: Chitpur Bridge: ভাঙা হতে পারে চিৎপুরের কাশীপুরের রেল ওভারব্রিজ, নতুন করে গড়ার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের


ডিসিপি জাফর আজমল কিদওয়াই বলেন, '২৮ অগাস্ট একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। শেখ নুর আলম অভিযোগ করেন গত দুই মাস ধরে অর্থাৎ ২৩ মে থেকে জিও টাওয়ার নিয়ে কথা চলছিল। প্রায় ১৭ বার ১৭টি ভিন্ন অ্যাকাউন্টে তিনি প্রায় ২০ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টাওয়ার লাগানো হয়নি। আমরা স্পেশাল টিম বানিয়ে তদন্ত শুরু করি। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় লোকেশন ট্র্যাক করে কল সেন্টারে হানা দিই।'


এই চক্রের জাল কতদূর ছড়িয়ে? আরও কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, সেই সমস্ত বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।